ইউক্রেনের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। এসব হামলায় অন্তত চারজন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) ইউক্রেনের সামরিক ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রোববার রাতের হামলায় ইউক্রেনের চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ এবং দোনেৎস্কের ফ্রন্টলাইন অঞ্চলগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে।
তারা বলছে, বেশিরভাগ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যে পৌঁছায়নি। একটি ইস্কান্দার-এম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, একটি ইস্কান্দার-কে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ছয়টি গাইডেড এয়ার মিসাইল ছুড়ে ছিল রাশিয়া। তবে এদের মধ্যে কতগুলো ধ্বংস হয়েছে তা উল্লেখ করেনি ইউক্রেনীয় বাহিনী।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ টেলিগ্রামে জানিয়েছে, সুমির উত্তরাঞ্চলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজন নিহত হয়েছে। তিন শিশুসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে।
পূর্বের খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ বলছেন, রাশিয়ার হামলায় চার বছর বয়সী শিশুসহ কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছে।
খারকিভ শহরের মেয়র ইহোর তেরেখভ বলেছেন, শহরে একটি গ্যাস পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে দুটি বাড়ি ধ্বংস এবং ১০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলেনস্কির বিমান বাহিনী বলেছে, ৯টি আক্রমণকারী ড্রোন ছুড়েছিল রাশিয়া। তাদের মধ্যে আটটি মাইকোলাইভ অঞ্চলে ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
খেরসন শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান রোমান ম্রোচকোর মতে, খেরসন শহরের দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার আক্রমণ সারাদিন অব্যাহত ছিল। এতে একজন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হয়েছে।
সুমির আঞ্চলিক প্রসিকিউটররা জানান, রোববার বিকেলে সভেসা গ্রামের একটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা হয়। এতে দুজন নিহত এবং আরও দুজন আহত হয়।
তবে এসব খবরের সত্যতার বিষয়টি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। তাছাড়া রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/এএজে