ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ক্রামাতোরস্কের একটি রেলস্টেশনে রকেট হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নিতে রেলস্টেশনটি ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ হামলার নিন্দা জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটি ‘ভয়াবহ’ হামলা। খবর রয়টার্সের।
হামলার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করা হলেও দেশটির পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রেলস্টেশনে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ‘উসকানিমূলক’ ও ‘সম্পূর্ণ অসত্য’।
শুক্রবার হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে এএফপির সাংবাদিক জানান, স্টেশনের পাশে মাটিতে প্লাস্টিক শিট দিয়ে ঢেকে রাখা ২০টি সারিবদ্ধ মরদেহ দেখেছেন তিনি। পরে সামরিক যানে মরদেহগুলো তুলে নেওয়া হয়।
সিটি মেয়র আলেকসান্দের হনশারেঙ্কো বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে। তখন স্টেশনটিতে অন্তত চার হাজার মানুষ ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত যে এটি একটি রাশিয়ান রকেট ছিল এবং রকেটটি যে স্টেশনে আঘাত করেছিল, তার আশপাশে কোনো ইউক্রেনীয় সামরিক লক্ষ্য ছিল না।
তবে রেলস্টেশনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল কি না বা হামলার জন্য কে দায়ী, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এর আগে ইউক্রেনের রেলওয়ে কোম্পানির প্রধান আলেকসান্দার কামিশিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, দুটি রকেট স্টেশনে আঘাত হেনেছে। হামলায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। হামলায় স্টেশনের পাশে রাখা চারটি গাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের একেবারে পূর্বাঞ্চলে এখনো চালু থাকা স্টেশনগুলোর একটি ক্রামাতোরস্ক স্টেশন। দোনেৎস্কের গভর্নর বলেছেন, হামলার সময় হাজারো মানুষ সেখানে ছিলেন। ওই এলাকা থেকে সরে যেতে তাঁরা ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকেই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে মস্কো।