ভূমিহীনদের জন্য সরকারের নেওয়া গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রহমানের পদাবনতি হয়েছে।
বর্তমানে ষষ্ঠ গ্রেডে থাকা এই কর্মকর্তাকে সপ্তম গ্রেডে নামিয়ে দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে দুর্নীতির জন্য প্রমাণিত ৪৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮০ টাকা তার বেতন-ভাতা থেকে কেটে রাখবে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে ওয়েব সাইটে প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ভূমিহীনদের জন্য সরকারের নেওয়া গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল শফিকুরের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নেওয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে গুচ্ছগ্রাম। এখানে গৃহহীন মানুষদের ঘরসহ বিভিন্ন ধরণের কর্ম সৃষ্টির মাধ্যমে গরীবদের সহায়তা করে সরকার।
শফিকুর রহমান বর্তমানে স্থানীয় সরকার বিভাগে ন্যস্ত আছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অদক্ষতা, অসদাচরণ ও দুর্নীতিপরায়ণতার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ইউএনওর দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তিনি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ৪৩ লাখটাকার বেশি আত্মসাৎ করেন। মাটির কাজ না হওয়া সত্ত্বেও ঘরের জন্য বরাদ্দ করা টাকা উত্তোলন করেছেন। অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন না করে নগদ টাকা তুলেছেন। বদলিজনিত কারণে দায়িত্ব হস্তান্তরের পরও তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে কাজ চালিয়ে গেছেন।
গাইবান্ধা সদরের সাবেক ইউএনও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় প্রকল্প কমিটি গঠন করেননি। তিনি প্রকল্পের পুরো কাজই করেছেন একক দায়িত্বে। মাটির কাজ না হওয়া সত্ত্বেও ঘরের জন্য বরাদ্দ করা টাকা উত্তোলন করেছেন।