ঈদের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা রাতে অজ্ঞাত দৃর্বৃত্তদের গুলিতে ফুলতলার ৩ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। গুলিবৃদ্ধরা হলেন ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্যা হেদায়েত হোসেন লিটু (৫৩), দামোদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান ভূঁইয়া সবুজ (৩৫) ও যুবলীগ কর্মী নাসিম মোল্যা (৩২)। আহতরা খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের ৫রাউন্ড তাজা গুলি ও দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করে। তবে গত চার দিনেও ঘটনায় জড়িত কোন দুর্বৃত্ত গ্রেপ্তার হয়নি।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলতলার তাঁজপুর গ্রামের মৃত- আব্দুস সামাদ মোল্যার পুত্র মোল্যা হেদায়েত হোসেন লিট,ু দামোদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দামোদর গ্রামের কামরুজ্জামান ভূঁইয়া নান্নুর পুত্র খায়রুজ্জামান ভূঁইয়া সবুজ, যুবলীগ কর্মী ও দামোদর গ্রামের আব্দুস কুদ্দুস মোল্যার পুত্র নাসিম মোল্যা ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীর ভূঁইয়ার পুত্র জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া দুটি মোটর সাইকেলযোগে অভয়নগরের রাজঘাট বাসষ্টান্ডে মোস্তাকের চায়ের দোকানে বসে চা, পান ও আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক ৮টা ২০ মিনিটে অজ্ঞাত ২ যুবক তাদের লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় তারা গুলিবৃদ্ধ হয়ে দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে মোল্যা হেদায়েত হোসেনকে খুমেক হাসপাতালে এবং সবুজ ও নাসিমকে ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, লিটু বুকের ডান পাজরের নিচ দিয়ে গুলি ঢুকে সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায়। সবুজের পেটে, থুতনির নিচে ও চোয়ালে এবং নাসিমের বাম হাতের কব্জি ও বাম উরুতে গুলিবৃদ্ধ হয়। তবে সবুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ডেন্টাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়ে অভয়নগর থানা পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের ৫রাউন্ড তাজা গুলি ও দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতিকুল ইসলাম বলেন, অভয়নগর ও ফুলতলা থানার সীমান্তবর্তী রাজঘাট মোড়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ৩ ব্যক্তি আহত হন। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলা হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
খুলনা গেজেট।/কেডি
