খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ কার্তিক, ১৪৩১ | ২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা

আসরের নামাজ ছেড়ে দিলে আসলেই কি আমল নষ্ট হয়ে যায়?

গেজেট ডেস্ক 

নামাজ অন্যতম ফরজ ইবাদত। পবিত্র কুরআনে ৮২ বার নামাজের কথা এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে তখন দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ। (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)।

অন্যদিকে হাদিসেও একাধিকবার নামাজ আদায়ের কথা এসেছে। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপরও। এমনকি খোদ মহান আল্লাহর কাছেও যথাসময়ে সালাত আদায় করা অধিক প্রিয় আমল।

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, যথাসময়ে সালাত আদায় করা। ইবনু মাসঊদ (রা.) পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, এরপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনু মাসঊদ (রা.) আবার জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? রাসুল (সা.) বললেন, এরপর আল্লাহর পথে জিহাদ বা জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০২)

এ ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ যদি ছুটে যায় সে ক্ষেত্রে কাজা আদায়ের বিধান রয়েছে। বিশেষ করে ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা আবশ্যক। অধিকাংশ ইসলামিক স্কলারদের মতে, যে ওয়াক্তের নামাজ কাজা হবে, পরের ওয়াক্তের সালাত আদায়ের আগে সেই কাজা আদায় করতে হবে। অর্থাৎ, কেউ কারও যদি যোহরের ওয়াক্ত ছুটে যায়, তাহলে আসরের ওয়াক্তের আগে তাকে যোহরের কাজা আদায় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শুধু ফরজ নামাজ আদায় করলেই হবে। সুন্নত না পড়লে কোনো অসুবিধা নেই। আর কাজা নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে সূরা-কেরাত মূল নামাজের মতোই।

তবে প্রায় সময় অনেককে অবহেলা করে নামাজ ছেড়ে দিতে দেখা যায়। আর এমনটা বেশিরভাগ সময় দেখা যায় আসরের ওয়াক্তে। অথচ এই সময়ের নামাজ ছেড়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধ রয়েছে। খোদ রাসুল (সা.) ও এ বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে হাদিসেও আসরের নামাজের গুরুত্ব উঠে এসেছে। ইবনু ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যার আসরের সালাত ছুটে গেল তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ যেন ধ্বংস হয়ে গেল। (সুনান ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৬৮৫)

অপর হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু মালীহ্ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- এক যুদ্ধে আমরা বুরাইদা (রা.) এর সঙ্গে ছিলাম। দিনটি ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তাই বুরাইদা (রা.) বললেন, শিগগিরই আসরের সালাত আদায় করে নাও। কারণ, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দেয়, তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। (মেশকাত, হাদিস: ৫৯৫; সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫২৬)

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!