খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ কার্তিক, ১৪৩১ | ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  চট্টগ্রামে জুস কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট
  সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তার

আসন কম : এইচএসসি‌তে উত্তীর্ণ সবাই উচ্চ শিক্ষার সু‌যোগ পা‌বে না

গেজেট ডেস্ক

উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ আসনের বিপরীতে এবার এইচএসসিতে পাশ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীর চেয়ে দেশে উচ্চশিক্ষার আসন সংখ্যা কম দুই লাখের মত। অর্থাৎ বিপুল সংখ্যার এই শিক্ষার্থীরা চাইলেও পাবেন না উচ্চশিক্ষার সুযোগ। তবে এটিকে সংকট বলে মনে করছেন না শিক্ষাবিদরা। যোগ্যদেরই উচ্চশিক্ষা নেয়া উচিত বলে মনে করেন তারা। আর বাকিরা কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করলে তা নিজের এবং দেশের জন্য ইতিবাচক হবে বলে মত তাদের।

এবারে এইচএসসিতে পাশ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের চেয়ে এবার পাশ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি তিন লাখ আশি হাজারের মত।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯ অনুযায়ী দেশে ১৫১ টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে আসন সংখ্যা ২ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টি। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি বেসরকারি কলেজ মিলিয়ে আসন আট লাখের মত। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আসন ১০ লাখের কিছু বেশি। এরপরও পাশের হার অনুযায়ী এবার আসন কম থাকবে প্রায় দুই লাখ। ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীও তাই বললেন সবাই সুযোগ নাও পেতে পারেন উচ্চশিক্ষা গ্রহণের।

আসন কম থাকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে কোন সংকট তৈরি হবে না বলে মনে করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, এ সময়া আমাদের আগেও ছিল এখনো আছে। আগে কম পাশ করতো বলে আকাঙ্খা কম ছিল, এবার বেশি পাশ করায় আকাঙ্খাও বাড়বে। এটি পার্থক্য হবে আর তেমন কোন পার্থক্য নেই।

শিক্ষাবিদরাও বলছেন প্রতিবছর যে পরিমান শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় যায় এবছরও তারচেয়ে খুব বেশি পার্থক্য হবে না। তবে সবাই উচ্চশিক্ষা নিয়ে শিক্ষিত বেকার হওয়ার চেয়ে, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে দক্ষ হওয়া অনেক বেশি জরুরী বলে মনে করেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক বলেন, শেষ পর্যন্ত যারাই উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী অনেকে হয়ত তাদের পছন্দ অনুযায়ি বিশ্ববিদ্যালয় বা বিষয় নাও পেতে পারে। কিন্তু কোন না কোন জায়গায় সে একটি আসন পেয়ে যায়। অনার্স মাস্টার্স পাশ করেও দেখা যায় অনেকে চাকরি পাচ্ছে না। তারা যে চাকরি পাচ্ছে তার জন্য বিএ এম এ পাশ করার দরকার নেই, কারিগরি শিক্ষাটা বেশি প্রয়োজন। সেদিকেই আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে যদি আমরা তাল মিলিয়ে চলতে চাই তাহলে কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের চিহ্নিত করা উচিত। আর এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা কোন দিকে তার মেধা কাজ লাগানো যায়।

তবে পাশ করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে এখনও অপেক্ষা করতে হতে পারে আরো অন্তত ৩ মাস।

সূত্র : ডি‌বি‌সি নিউজ।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!