চাচা ও ভাতিজীর বিয়েকে সামাজিকভাবে বয়কট করায় এক সরকারি কর্মচারির নেতৃত্বে গ্রামবাসির উপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুন)বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজলার ফটিকখালি দেয়াবকসিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসয় গ্রামবাসিকে পিটিয়ে জখম করে অপহরণের চেষ্টাকালে এক হামলাকারিকে মোটর সাইকেলসহ আটক করা হয়েছে। আটককৃতের নাম রবিউল ইসলাম (৩২)। সে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের বরকত মোল্লার ছেলে।
দেয়াবকসিয়া গ্রামের দেবেন মণ্ডলের ছেলে তাপস মণ্ডল জানান, তাদের গ্রামের দীপঙ্কর গাইন তার ভাইঝি পলাশী গাইনকে কয়েক মাস আগে আদালতের মধ্যেমে রেজিষ্ট্রি বিয়ে করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ হিন্দু সমাজে এটি অসামাজিক উল্লেখ করে দীপঙ্কর গাইনকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। এ কারণে দীপঙ্কর ও পলাশী দীর্ঘদিন গ্রামে আসেনি । কয়েকদিন আগে তারা বাড়িতে ফিরে আসলে বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সকালে তাদের পাড়ার কয়েকজন মিলে আলোচনা করে সন্ধ্যায় বসাবসির সিদ্ধান্ত নেয়। বসাবসির ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসের করণিক ওই গ্রামের প্রদীপ মণ্ডলকে অবহিত করা হয়।
তাপস মণ্ডল আরো জানায়, ঘটনা জানার পর প্রদীপ মণ্ডল গ্রামবাসিকে জব্দ করতে দীপঙ্করের পক্ষ নিয়ে ১২টি মোটর সাইকেলে কমপক্ষে ৩০ জন সশস্ত্র লোকজন নিয়ে শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাদের পাড়ায় এসে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় দীঘির পাড়ে বসে থাকা তার ভাই বিধান মণ্ডলকে প্রদীপের নেতৃত্বে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। একপর্যয়ে বিধানকে মোটর সাইকেলে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বিধানকে ছাড়িয়ে নেয়। এ সময় হামলাকারি গদাইপুর গ্রামের রবিউল মোল্লাকে লোহার রড ও মোটর সাইকেলসহ আটক করে পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রদীপ মণ্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, আপনার সাথে দেখা করে কথা বলবো।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবীর জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম