সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে একটি নবজাতক কন্যা শিশুকে ব্রিজের উপর থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ভোর রাতের কোন এক সময়ে ওই ইউনিয়নের গুনকরকাটি ব্রিজের উপর থেকে নবজাতকটিকে বেতনা নদীর চরে ফেলে দেয়া হয়। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নবজাতকটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মারা যায় শিশুটি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ব্রীজের নিচে নদীর চরে একটি শিশুকে দেখতে পায় পথচারীরা। ব্রীজের ওপর থেকে নবজাতকটিকে কে বা কারা ফেলে দিয়েছে বলে জানান তারা। যে বা যারা ফেলে দিয়েছিলেন তারা ভেবেছিলেন শিশুটি মারা গেছে। তবে ভাগ্যক্রমে শিশুটি তখনও জীবিত ছিল। তবে মাথায় গুরুতর জখম হয় শিশুটির। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়।
কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত আল হারুন রশিদ জানান, ঘটনাটি জানার পরই নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনেক উঁচু থেকে ফেলে দেয়ায় মাথা ফেটে গুরুতর জখম হয় শিশুটির। তিনি দায়িত্ব নিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। বেলা ১২টার চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, শিশুটি বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। যারা এই নবজাতকটিকে হত্যা করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।
খুলনা গেজেট/ টি আই