সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক মাসের ব্যবধানে কুকুরের কামড়ে শতাধিক গরুর বাছুর, ছাগল ও ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী কুকুরের ভয়ে ছাগল-ভেড়াসহ গবাদি পশু মাঠে ছাড়তে সাহস পাচ্ছে না।
জানা গেছে, গত একমাস ধরে বিভিন্ন সময়ে বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া, ফকরাবাদ, গোয়ালডাঙ্গা, জেলপাতুয়া, বামনডাঙ্গা, ডুমুরপোতা, নড়েরাবাদ, জামালনগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বিলে ২০/২৫ টি বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর ঘোরাফেরা করছে। এসব কুকুর বিলের মধ্যে ঘাস খাওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া গরুর বাছুর, ছাগল, ভেড়া ধরে কামড়ে মেরে ফেলছে। এসময় কুকুর ওই পশুর পেটের চামড়া ছিড়ে ফেলে অল্প একটু মাংস খেয়ে সেটি ফেলে আবার আরেকটির উপর আক্রমণ করছে। এভাবে গত একমাসের ব্যবধানে ওই এলাকায় কুকুরের কামড়ে শতাধিক গরুর বাছুর ও ছাগল-ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থা দেখে স্থানীয়রা তাদের গবাদি পশু ঘাস খাওয়ার জন্য বিলে ছাড়তে সাহস পাচ্ছে না। এমনকি এসব বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের ভয়ে ওই এলাকার সাধারণ মানুষও বিলে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্রামের হাবিবুর রহমান, ভগিরথ মন্ডল, ইমান আলি গাজী, তাজউদ্দীন বিশ্বাস, খালেক সরদার ও গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের ফারুক হোসেনের একটি করে ছাগল এবং ফকরাবাদ গ্রামের রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের ৫টি ভেড়া সহ বিভিন্ন মানুষের শতাধিক গরুর বাছুর, ছাগল ও ভেড়া কুকুরে কামড়ে মেরে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মোল্যা জানান, একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি এ খবর জানতে পেরেছেন। কিন্তু পশু মারার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকায় তিনি বিষয়টি প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। আশা করছি দ্রুত এসব বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর নিধনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভূক্তভোগী এলাকাবাসী বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর থেকে নিজেদের গোবাদি পশু রক্ষায় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে তারা ক্ষতিপূরণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম