খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

আশানূরুপ ফসল ঘরে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে আমন চাষিরা

কয়রা প্রতিনিধি

খুলনার কয়রা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে আমন ধান ঘরে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক কৃষানিরা। সংস্কার করছে ধান কাটার যন্ত্র কাচি। নতুন ধান ঘরে তোলার জন্য বসত বাড়িতে ও মাঠে চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। ২/১ সপ্তাহের মধ্যে সব জায়গাতে ধান কাটা শুরু হবে। বর্ষা ঋতুতে এ বছর বর্ষা বেশি হওয়ায় ফসলের মাঠে সবুজের সোনালী ধানের হাসি যেন কৃষকদের মনে আনন্দ বয়ে আনছে। তবে দুর্যোগের মধ্য দিয়েও এবছর মাঠে বাম্পার ফলন ফলেছে। সার, বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমন আবাদ করেছিলেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা আশানূরুপ উৎপাদিত ফসল পাবে।

কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছিলো। যার ৬৫০ মেঃ টন ধান উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠে সোনালি ধানের সমারোহ। রোদ আর হিমেল বাতাসে ফসলের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন ধানের শীষ। দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ, সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করার অপেক্ষায়। আর মাত্র ক’দিনের মধ্যেই কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার উপযোগী হবে। কৃষকরা কাচি সংস্কার করছে। বাড়ি ও মাঠের উঠানে ধান তোলার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছে।

আংটি হারা পশ্চিম বিলের কৃষক শশধর সানা অতি আনন্দে বলেন, এবছর এক বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলাম। বাম্পার ফসল ফলেছে বিঘা প্রতি আনুমানিক ৩০ মনের মতো ফসল হবে বলে ধারণা করছি। তিনি আরও বলেন, নতুন ধান ঘরে তোলার সকল প্রস্তুতি নিয়েছি নতুন ধান থেকে চাল তৈরি করে পিঠাতৈরি করে খাবে পরিবারের সদস্যগণ।

সাতালিয়া পূর্ব বিলের কৃষক মিজানুর রহমান বাবু জানান, আমি এবছর ২২ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি ফসল অনেক ভালো হয়েছে এ সপ্তাহে কাটা শুরু করবো। বিঘা প্রতি ২৪/২৫ মন পাবো।

কয়রা সদর ইউনিয়নের কৃষক মাস্টার আব্দুল খালেক বলেন, আমি বছর ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি ফলন যথেষ্ট ভালো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে কৃষি কর্মকর্তাগণ খুবই আন্তরিক সবসময়ই মাঠে আসে ধান দেখে আমাদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ প্রদান করে।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, কয়রার কৃষক ভাইয়েরা এবার আমনের বাম্পার ফলন আশা করছে।আমনের শুরুতে অতিবৃষ্টি জনিত কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়লে অনেকের দ্বিতীয়বার বীজতলা করার প্রয়োজন পড়ে। উপজেলা কৃষি অফিস প্রণোদনার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে বীজ সংগ্রহ করে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করে। সুষম সার প্রয়োগ, উন্নত জাতের আবাদ সর্বপরি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মতৎপরতায় আমনে প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক ফলন পাওয়া যাবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!