সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের আলোরকোলে বঙ্গেপসাগর মোহনায় বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সনাতন হিন্দু ধমার্লম্বীদের রাস পূর্ণিমায় ঐতিহাসিক রাসপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে সনাতন হিন্দু ধমার্লম্বিরা পাপ মোচনের আশায় অংশ নেবেন রাস পূর্ণ স্নানে।
এবারের রাস পূর্ণিমার রাসপুজা ও রাস পূর্ণ স্নানে অংশ নিতে হাজার হাজার সনাতন হিন্দু ধমার্লম্বীরা এখন অবস্থান করছেন সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে। তবে, এবার রাস পূর্ণিমার পূর্ণ স্নান- রাসপুজার অনুমতি দেয়া হলেও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র সংরক্ষণের স্বার্থে রাস মেলা অনুমতি দেয়নি বন বিভাগ।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকতার্ (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলছে, এবারের রাস পূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নানের জন্য সীমিত পরিসরে শুধুমাত্র সনাতন ধমার্বলম্বলীদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এবার রাস পূজা ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠানে যেতে দেয়া হয়নি সনাতন হিন্দু ধর্মলম্বী ছাড়া অন্য ধর্মের কোন লোকজনকে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সুন্দরবন বিভাগের অনুমতিপত্র (পাশ) নিয়ে বন বিভাগের নির্দিষ্ট ৫ নৌপথ দিয়ে সনাতন হিন্দু পুণ্যার্থীরা এবার রাস পূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে পেরেছেন।
প্রতি বছর নভেম্বর মাসে রাস পূর্ণিমার তিথীতে বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল ও চট্রগ্রামসহ দেশে বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার সনাতন হিন্দু পুণ্যার্থীসহ নানা ধর্মবর্ণের দেশীবিদেশী পর্যটকরা সুন্দরবনের আলোরকোলে রাস উৎসবে অংশ নিয়ে থাকেন।
তবে এবার রাস পূর্ণিমার পূর্ণ স্নান-রাসপুজায় হিন্দু পূণ্যার্থীদের নির্দিষ্ট করে দিয়ে রাস উৎসব বা মেলা বন্ধ করে দেয়ায় লোক সমাগম অর্ধেকে নেমে এসেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম