আমরণ অনশনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ আহ্বান জানান।
তবে আলোচনার প্রস্তাব গ্ৰহণ করলেও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার, সহকারি ছাত্র কল্যাণ পরিচালক রাজু আহমেদ ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আশরাফুল গনি ভূঁইয়া।
স্টুডেন্ট ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) বলেন, “ছাত্রদের সাথে আলোচনা চলছে। আমরা তাদের নিয়ে বসেছি। তারা তাদের সমস্যার জায়গাগুলো আমাদের জানাবে। তাদের সকল সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় সে লক্ষ্যে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। ছাত্ররা আমাদের সন্তানের মত। তারা কোন অন্যায় বা ভুল করতে পারে। এমনকি আমরাও ভুলের উর্ধ্বে নই। শিক্ষক হিসেবে আমাদের অগ্রাধিকার সব সময় শিক্ষার্থী। তাদেরকে নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটা ছাত্রের যাতে কোন সমস্যা না হয় লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আমি বদ্ধ পরিকর। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই-ছাত্রদের কোন বিষয়ে কোন সমস্যা হলে তার সমাধান করা আমার অন্যতম ও প্রধান দায়িত্ব।
তিনি আরো বলেন, “৩৭ (সাঁইত্রিশ) জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। উক্ত বহিস্কার কিন্তু চূড়ান্ত বহিস্কার নয়। এখানে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বসবে। যে সকল ছাত্রদের সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। নিরপরাধ কেউ যেন কোন প্রকার শাস্তির মুখোমুখি না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ ফারুক হোসেন, অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, অধ্যাপক ড. রাজিয়া খাতুন, অধ্যাপক ড. রোকনউদ্দিন, অধ্যাপক ড. ইলিয়াস এনাম, অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান, অধ্যাপক ডক্টর মনির হোসেন, অধ্যাপক ড. আওলাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. আহমেদ হাসান আলী, অধ্যাপক ড. কাউসার আহমেদ রিজভী, অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম/এএজে