আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেন। এর ফলে ওই মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে গত বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় মামলাটি হয়। ওই মামলায় ১০৭ দিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম ওই বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ করা হয়। এ অবস্থায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে থাকা ওই মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলম ২০১৯ সালের ৩ মার্চ রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৪ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে তদন্ত কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। এরপর ওই বছরের ২৩ মে ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
রুলে ওই মামলায় চলা তদন্ত কার্যক্রম কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বা সংবিধানের ৩১ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রুল খারিজ করে রায় দেওয়া হয়।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, আইনজীবী সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।