খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুইজন নিহত
  মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭
  সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ

আ’লীগ সরকার ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বার বার হত্যা করেছে : মোশাররফ

গেজেট ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সরকার ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বার বার হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জন করেছি কিসের জন্য বা কী তার চেতনা ছিল?…গণতন্ত্র। আজকে যখন ৫১ বছর পরে আলোচনা করতে দাঁড়াই, তখন সবাই বলি দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, কেউ বলবে না গণতন্ত্র আছে। শুধু আমরা নই, আন্তর্জাতিক বিশ্বও বলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বেশ কিছু দিন আগে আমেরিকায় একটি গণতান্ত্রিক কনভেনশন হয়েছিলে, এখন আরেকটি গণতান্ত্রিক সম্মেলন হচ্ছে। দুইবারই বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পায়নি। কেননা তারা পরিষ্কার বলেছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। যারা শাসন করছে তারা হাইব্রিড শোষক। এজন্য কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা এদেশে প্রাণ দেননি, ভাষা শহীদরা প্রাণ দেননি। প্রাণ দিয়েছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, ভাষা আন্দোলনের চেতনা বলেন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলেন, এদেশে গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করা হয়েছে। প্রথম হত্যা করা হয়েছে আজকে যারা ক্ষমতায় আছে এই আওয়ামী লীগ যখন স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় ছিল। তখন তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। আজকে আবার এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়…১৪ বছর গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে মানুষের ভোটের অধিকার নেই। শুধু সংসদ নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট আগেই নির্ধারিত হয়ে যায়। আজকে আওয়ামী লীগের সময়ে গণতন্ত্রকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ মুক্ত চিন্তা রুখতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বারবার হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগও তুলে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, প্রথম ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন নিউজ পেপারস সংশোধনী অ্যাক্ট করে সারা দেশে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়ে চারটি সংবাদপত্র রেখেছিল। তখন হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়েছিল। দ্বিতীয়বার যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসল, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ১৯৯৯ সালে টাইমস-দৈনিক বাংলা ট্রাস্টের চারটি পত্রিকা বন্ধ করে দিল।

এই বিএনপি নেতা বলেন, তারপরে দেখলাম, ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দিল। ২০১৩ সালে দৈনিক আমার দেশ বন্ধ, ২০১৩ সালে দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টেলিভিশন বন্ধ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে পত্রিকা দৈনিক দিনকালের প্রকাশক, রোববার তারা এই পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তার মাধ্যমকে এই সরকার যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই বন্ধ করে দিয়েছে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার হটানোর ১০ দফা দাবির চলমান আন্দোলনকে সফল করতে জনগণকে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, আজকে আমাদের শপথ হোক- রাজপথে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে যত শিগগিরই সম্ভব এই সরকারকে বিদায় করতে পারব, বাংলাদেশের জন্য ততই মঙ্গল।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করার কথা ছিল দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামগীরের। তবে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই রাজনীতিবিদ।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবদুল হাই ও কবি মাহবুব হাসানসহ আরও অনেকে।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!