আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেছেন, ‘বিষয়টি আমি জানিই না। জানলে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘চাকরিজীবী লীগ চার বছর আগের একটি সংগঠন। ওরা আমাকে বলল, আপা আমরা আপনাকে রাখতে চাই। আমি বললাম, আমি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানাব। এর বেশি আমি কিছু জানি না।’
উল্লেখ্য ‘চাকরিজীবী লীগ’ করার কারণে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ হারান হেলেনা জাহাঙ্গীর। শনিবার আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বারবার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্য পদ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটি থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চিঠি প্রস্তুত করতে বলেছি দফতর সম্পাদককে।
আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি আরও বলেন, একটা উপ-কমিটিতে থাকলে কাজ করার জন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। তার কর্মকাণ্ডে উপ-কমিটি বিব্রত। তাই তাকে সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য গত মাসেই তাকে (হেলেনা জাহাঙ্গীর) কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই চিঠির জবাব দেননি তিনি। এজন্য নির্দিষ্ট সময় পর এটা স্বাভাবিকভাবেই অব্যাহতি হয়ে গেছে। কাজেই বলা যায়, বর্তমানে তিনি ওই কমিটিতে আর নেই।
এর আগে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে সাইফুল ইসলাম ইমনের ফোন নম্বর দিয়ে পদ প্রত্যাশীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়। ওই পোস্টারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই