সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেছেন, অনেক রক্ত, কান্না, আহজারি আর সর্বোচ্চ আত্নত্যাগে এই স্বাধীনতাকে ভুলন্ঠিত হতে দেয়া যাবে না। বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ বিসর্জনকারী সকল শহিদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ১২ লাখ আমিরাত প্রবাসীদের প্রত্যেকে যেন ভালো কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্বশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
দিনের শুরুতে উপস্থিত সকলকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সূচনা করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে জুলাই ২০২৪ এর গণমানুষের সংগ্রাম, আত্নত্যাগ ও শহিদের স্মৃতিকে স্মরণ করে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃোন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে প্রবাসীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে ১৯৭১ ও ২০২৪ এর জানা-অজানা সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে এইচ এম আবুল খায়ের, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক আজিজ, জিয়াউদ্দিন বাবলু বক্তব্য রাখেন। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে কিভাবে ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ আমাদের চেতনা এবং জুলাই ২০২৪ এর সংগ্রাম ও অভ্যুত্থান আমাদের প্রেরণা হয়ে উঠেছে। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ উল্লেখ করেন যে এই স্বাধীনতা আমাদের মায়ের অশ্রু, বোনের সম্ভ্রম আর পিতার সংগ্রাম দিয়ে কেনা, তাই আজকের দিনের শপথ হতে হবে সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করার।
পরিশেষে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের আরও সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে