অনেক টি-টোয়েন্টি খেলেও বাংলাদেশ পুরুষ দল যেখানে ব্যর্থ, সেখানে মেয়েরা তো এই ফরম্যাটে খেলার তেমন সুযোগই পায় না। বাংলাদেশের মেয়েরা সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। তার আগে দুই বছর টাইগ্রেসরা টি-টোয়েন্টি খেলেনি! তার পরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নিজেদেরকেই ফেভারিট মনে করছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমত বলব যে আইসিসি টি-টোয়েন্টি কোয়ালিফায়ার, প্রথম উদ্দেশ্যে থাকবে কোয়ালিফাই করা।
প্লাস আয়ারল্যান্ড ভালো দল আমাদের বিপক্ষে। কিন্তু তাদের যদি পরিসংখ্যান দেখেন আমাদের বিপক্ষে জয় খুব কম তাদের। সে জায়গা থেকে আমি বলব আমাদের দল ফেভারিট। আমি বলব টিম ওয়াইজ এই দলটা অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছি একসঙ্গে। সে ক্ষেত্রে আমরা একে-অপরকে জানি। আমি মনে করি আমাদের দলের যে পটেনশিয়াল আছে, আমরা যদি ধারাবাহিকতা রাখতে পারি, ব্যাটাররা যদি ভালো করতে পারে, টিম হিসেবে পারফর্ম করতে পারি, আমরা ফেভারিট হয়ে থাকব। ’
পুরুষ দলে হার্ডহিটার নেই, মেয়েদের দলে কি আছে? এ বিষয়ে জ্যোতি বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা এনসিএল ও প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি। সেখানে দেখবেন যারা ব্যাটার ছিল, স্কোয়াডে আছে বা স্কোয়াডের বাইরেও অনেক প্লেয়ার ছিল; তারা ব্যাটিংটা অনেক ভালো করেছে।
সর্বশেষ এনসিএলে ৬-৭-এ হার্ড হিটিংয়ের জন্য তিন-চারজন ক্রিকেটার পেয়েছি। স্পেশালি যদি নাম বলি সুবহানা আছে, ঋতু মনি আছে, জাহানারা আপুও লাস্টে গিয়ে খুব ভালো হিট করতে পারেন, প্লাস যদি মারুফাকে একাদশে পাই। যে কমতিটা ছিল একসময়, দু-একটা প্লেয়ার বড় শট খেলছিল, ওভার বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছে, সে রকম অনেক অপশন আছে এখন আমাদের। আমার কাছে মনে হয় না স্ট্রাগল করতে হবে ওই জায়গায়। এখন পর্যন্ত ব্যাটাররা ভালো শেপে আছে। ঢাকায় হয়তো ফিটনেস বেসিস ক্যাম্পটা করেছি, কিন্তু পাশাপাশি অনেকে ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছে। যেন আমরা পাওয়ার হিটিংটা করতে পারি। ’