খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ২৫০, বাংলাদেশ পেল ৫ উইকেট

আমদানি-রপ্তানির আড়ালে মিথ্যা ঘোষণায় অর্থ পাচার হয়েছে : গভর্নর

গেজেট ডেস্ক

গত কয়েক মাসের আমদানির চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অর্থ পাচার হয়েছে। বেশি দামের পণ্য কম দামে এলসি খুলে বাকি অর্থ হুন্ডিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, এক লাখ ডলারের মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি মাত্র ২০ হাজার ডলারে আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে। বাকি অর্থ হুন্ডিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যে ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েস (আমদানি মূল্য বাড়িয়ে দেখানো) হয়েছে। গত জুলাই মাসে এমন আশ্চর্যজনক প্রায় ১০০টি ঋণপত্র বন্ধ করা হয়েছে।

বৈদেশিক বাণিজ্যে পণ্যের দাম কম বা বেশি দেখিয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ‘ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং’ বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমদানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। সঠিক মূল্যে ঋণপত্র খুললে সবাই আমদানি করতে পারবেন। ৩০-৩৫টি বিলাসী পণ্য আছে, যা আমদানি না করলেই হয়, এমন কিছু পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে। এলসি মার্জিন বাড়ানো হয়েছে।

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারনির্ভর হওয়া উচিত। তাই এখন বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ১২১ টাকার ডলার ১১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর আমদানি পর্যায়ে ডলারের দর এখন ১০৩-১০৪ টাকা। কয়েক মাস আগেও এটি অনেক বেশি ছিল। এখন ধীরে ধীরে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে।

গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি (জিএফআই) অর্থ পাচার নিয়ে প্রতিবেদনে বলেছে, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের মাধ্যমে মূল্য কমবেশি দেখিয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। প্রতি বছর গড়ে ৭৫ হাজার কোটি টাকা এভাবে পাচার হয়।

রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বিআইডিএসের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সভাপতিত্ব করেন বিনায়ক সেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!