আমচাষীদের অবস্থা খারাপ। বাগানে কেনার লোক আসছে না, লোকাল ট্রেনে মুর্শিদাবাদ মালদহের যে আম সহজে যেত। তার সুযোগ নেই। বাগান কেনা চাষীদের লেবারের টাকা মেটানো কঠিন। অনুরূপভাবে কাঁঠালেরও এক দলা। তা সত্বেও বাজারে খুচরো আম নামে গাছ পাকা আড়ত ঘুরে চল্লিশ-পঞ্চাশ টাকা। বাগান থেকে কুইন্টাল হাজার বার শ’ টাকা।
একজন বলেছিলেন, কাঁচা আমের সময় ট্রেনের যোগাযোগ ছিল। দাম যা ছিল তাতে লেবার খরচা তো এত হত না। আগামী বছর বাগান কেনার আগ্রহই কমে যাবে । ফসলের দামে না পেয়ে আর ধান পাটে সবজির চাষ কমিয়ে আম্রপালি, লেবুর চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছিল। কাঁঠালের বাগান ঘেরা গ্রামের অতীত বয়স্ক গাছের পর এ আগ্রহ থেমে গেলে বাগান চাষীদের চে নাগরিক হিসেবে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়ার জাতধর্ম হীন মানুষকে বেশি কষ্ট পেতে হবে, যারা করোনায় অক্সিজেন এর অভাবে মরছিল। এবার গাছের শূন্যতায় অক্সিজেন বোতল ঘাড়ে নিয়ে ঘুরতে হবে চাষি বুদ্ধিজীবী আড়তদার বিজ্ঞানী ভিখিরি সবার দরজার। জলের বোতলটা ধরিয়ে প্রাকৃতিক পানীয় দখল নিয়ে লাভের বেওসা করছে।এবার অক্সিজেন এর বেওসায় তাদের দেখা যাবে । ভুয়া টিকা ভোঁ মারে। সরকার ঘরে রেখে বাইরে খুঁজে মরে। নয়নাঞজন নাকি দৈনিক দৈব। প্রকৃতই দেবাঞজন তো লেবাননে ব্যবসা করছিল না। কলকাতায়। দিনে অফিস পেতে । সনাক্তকার ছিল কিনা । প্যাঁচানো গোল বেঁধে যায়।
চাষী মরবে, নিজে অন্যায়কারী তাই ফাঁসিতে মরে । দেশের চাষীদের কষ্টে প্রতীকী দিল্লির চার পাশে কৃষক আন্দোলন বসে আছে। আগুনের পরশ মণি এখনও। তা টগবগ করে ফুটতে লাগলো আদানী আম্বানির মত আড়তদার আর তাদের বন্ধুরা মনস্যনটো ও পাহারাদার মোদী মদ্দার দেশ গদ্দার এদের নিয়ে এখনও ডাক দেয়নি। ধৈর্য একটি ভারতীয় ন্যাহ্য কৌশল। সর্বংসহা। কৃষক দেখে যায়। মাটির মতো মত লাথি মার লাঙ্গল চাষ মাটি সহ্য কর সীমা অতিক্রম করে তখন হাঁড়ি গরম হবে তখন তার রূপের ও গুনের বদল হবে। ভূমিকম্প ঘটিয়ে । প্রতিবাদ শুনবে না প্রতিশোধ তাই আহ্বান করছে এভাষাই তারা বোঝে হয়ত।
অন্নপূর্ণার সারল্য পরগত প্রাণ বুঝতে পারেনা। ” নিজে রহি অনশনে হরিতেছ জগতের ক্ষুধা।” সদা শান্ত শিব কৃষক । রুদ্র মূর্তি দেখার আগ্রহ এবং অবশ্যই তখন স্বাদ মিটে যাবে। এটাই বাস্তব এটাই স্বাভাবিক। “সেদিন ডাকছ ডাকো নিজের মরণ নিজেই ডাকো গুটি পোঁকা, ইচ্ছে করে বুঝতে চাওনা কচি খোকা! চারিদিকে রব উঠেছে যদিও থাক ন্যাকা বোকা । হিসেবে তখন দিতেই হবে পাবে স্থায়ী শিখা”
[ পাঁচালী রচনা — মুজফ্ফর হোসেন ] কৃষক আন্দোলন দীর্ঘজীবী হোক।