মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টার শেল ও মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কাঁপছে কক্সবাজারে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদ সীমান্ত। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে সীমান্তের লোকজনের মধ্যে।
শুক্রবার রাত ৯টার পর থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দ পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধস্থল জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা নাছির উদ্দীন বলেন, ‘রাত ৯টার পর থেকে আবারও মিয়ানমারের ভারী গোলার শব্দ আমার বাড়ি থেকে পাওয়া যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, নাফনদে এসে পড়ছে ভারী গোলা। আগের মতো মর্টারশেলের মতো বিকট আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। টানা আধা ঘণ্টা, একের পর এক গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে গোলার শব্দেয় আমি না ঘুমিয়ে বাড়িতে বসে আছি। এখনও ভারী গোলার আওয়াজ পেয়েছি।’
শাহপরীর দ্বীপ বাসিন্দা মোহাম্মদ খুরশেদ বলেন, মিয়ানমার থেকে মর্টার-শেল ও গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তিন দিন বন্ধ থাকার পর রাত ৯টার পর থেকে অনেক ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘দিনে কোনো গোলার শব্দ পাওয়া না গেলেও রাতে ভারী গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে সীমান্তের বসবাসকারী লোকজন জানিয়েছেন। এরপরও আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’
এদিকে এখনও মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ৯ জন রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশকালে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। এর আগে চলতি মাসে প্রায় চারশ’ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছিল সীমান্তে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড চট্রগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ‘ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নাফনদ শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে অনুপ্রবেশের সম্ভবনা থেকে আমরা (কোস্ট গার্ড) নাফনদে টহল জোরদার রেখেছি। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা ইতিমধ্যে ২ শতাধিকের বেশি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছি।’