একসময় বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন পাকির আলী। আবাহনী লিমিটেডের হয়ে সামলেছেন তাদের রক্ষণদুর্গ। এরপর কোচ হিসেবে আবাহনী, মোহামেডান পিডাব্লিউডি ও সবশেষ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবেও কাজ করেছেন। এমনকি লঙ্কান জাতীয় দলেরও কোচ ছিলেন প্রায় দুই বছর। সেই শ্রীলঙ্কান কোচ আবারও ফিরছেন বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে। বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের হয়ে আসছে মৌসুমে ডাগ আউটে দেখা যাবে সাবেক এই তারকা ডিফেন্ডারকে।
গত মৌসুমে প্রথম প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে পুলিশ ফুটবল ক্লাব। সাইপ্রাসের কোচ নিকোলাস ভিতরোভিচ ছিলেন কোচ। কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে এবার তারা আরও অভিজ্ঞ কোচ খুঁজছিল। সেই আগ্রহের প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে শেখ জামাল ধানমন্ডির কোচ হয়ে কাজ করা পাকির আলীকেই বেশি পছন্দ ছিল তাদের। তাই সব কিছু পাঁকাও হয়ে গেছে দুই পক্ষের সমঝোতায়। শ্রীলঙ্কান সাবেক এই ডিফেন্ডার নিজেই ফোনে কলোম্বো থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানালেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আবারও আমার সেকেন্ড হোম বাংলাদেশে আসার সুযোগ হচ্ছে। পুলিশ দলের দায়িত্ব নিতে এ মাসের শেষ দিকেই হয়তো আসবো। আগামী সোমবার ভিসার জন্য আবেদন করবো।।’
১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আবাহনীর স্টপার ব্যাক হিসেবে খেলেছেন ঝাকড়া চুলের পাকির আলী। যদিও সেই চুল এখন আর নেই। এদেশে খেলতে এসে পেয়ে যান ব্যাপক তারকাখ্যাতি ও মানুষের ভালোবাসা। খেলা ছাড়ার পরও পাকিরের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পরেনি।
পাকির আলী তাই বলেছেন, ‘ফুটবল ক্যারিয়ারের একটা স্বর্ণালী সময়ে আমি বাংলাদেশে কাটিয়েছি। আমি বাংলা বলতে পারি। এই দেশের সব কিছুই আমার চেনা। এই দেশের ফুটবল উন্নয়নে সব সময় চেষ্টা করেছি। এক সময় এশিয়ার সেরা খেলোয়াড়দের পক্ষে-বিপক্ষেও খেলেছি। তাই সবসময়ই চিন্তা থাকে, বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত যেন করতে পারি। আরেকবার বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য পুলিশ দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এদিকে পাকির আলীকে পুলিশ ক্লাবে নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানাতে রাজি হননি দলটির শীর্ষ কর্তারা। তবে পাকিরের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার কথা স্বীকার করেছেন ক্লাবটির সভাপতি ও অতিরিক্ত আইজি শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান। তার কথা, ‘আমরা পাকির আলীর সঙ্গে কথা বলছি। তবে এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
খুলনা গেজেট/এএমআর