বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি জেল আপিল করেছেন।
আপিলগুলো মঙ্গলবার হাইকোর্টের বেঞ্চের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। আজ বুধবার এই জেল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার (অ্যাডমিশন) ওপর শুনানি হতে পারে।
এ মামলায় বিচারিক আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ৬ জানুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।
ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এছাড়া দণ্ডিত আসামিরা উচ্চ আদালতে ফৌজদারি আপিল এবং জেল আপিল করতে পারেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ জন জেল আপিল দায়ের করেন।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার ওরফে অপু, মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মাজেদুর রহমান মাজেদ, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম অরফে তানভির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মুনতাসির আল জেমী, মিজানুর রহমান মিজান, এস এম মাহমুদ সেতু, সামসুল আরেফিন রাফাত ও মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম জেল আপিল করেছেন।
বাকি তিনজন- এহতেশামুল রাব্বি অরফে তানিম, মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল ওরফে জিসান ও মুজতবা রাফিদ পলাতক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আকাশ হোসেন, মুহতাসিম ফুয়াদ ও মোয়াজ ওরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাই বুয়েটের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ। এ মামলায় বিচারিক কাজ শেষে রায় ঘোষণা করে আদালত।
খুলনা গেজেট/এনএম