ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) রোববার আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এবং তালেবানের কাবুল দখলের পর সৃষ্ট সংকট সমাধানে অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিন সৌদি আরবের জেদ্দায় আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ওআইসির নির্বাহী কমিটির বৈঠক আয়োজন করা হয়। বৈঠকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওআইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, আফগানিস্তান কখনোই যেন ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’কে আশ্রয় না দেয়।
জেদ্দাভিত্তিক ৫৭-সদস্যের সংগঠনটি বলেছে, তারা ‘শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় পুনর্মিলনের’ গুরুত্বের ওপর জোর দিতে আফগানিস্তানে দূত পাঠাবে। খবর জিও টিভির।
ভবিষ্যৎ আফগান নেতৃত্ব এবং আফগানিস্তানকে আর কখনো সন্ত্রাসীদের প্ল্যাটফর্ম বা আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করতে না দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে সংস্থাটি।
ওআইসি আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতি, ক্রমবর্ধমান বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং উদ্বাস্তুদের নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া সংস্থাটি এর সদস্য দেশ, ইসলামি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অংশীদারদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্যও আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে জি-৭ সহ অন্যান্য বহুজাতীয় সংগঠনগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তালেবান পুনরায় ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহ পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তা বিবেচনা করার জন্য তারা বৈঠক করবে।
তালেবানরা প্রথমবার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছিল। সেই সময় তারা আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল, যার নেতৃত্বে ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার দায় স্বীকার করেছিল। ওই হমলায় অন্তত তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
খুলনা গেজেট/কেএম