পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ট্রিবিউনে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হচ্ছে যে, দেশটির বেসামরিক এবং সামরিক নেতারা আফগানিস্তান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও অপেক্ষা করতে চান।
একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওই পত্রিকায় বলা হচ্ছে, কাবুলের নতুন সরকারকে স্বীকৃতির বিষয়ে এখনি কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় না পাকিস্তান। এই বিষয়ে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে, সেটা ঠিক করতে তারা চীন, রাশিয়া, ইরানের মতো দেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান বলছে, আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা একটি ‘যৌক্তিক সিদ্ধান্ত’। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সোমবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে দেশের শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়- বৈঠকে এনএসসি জানিয়েছে, পাকিস্তান আফগানিস্তানের সব পক্ষকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে এবং নিজ দেশের মাটি অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে। ওই বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনএসসি পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে যে আফগানিস্তানের সংঘাতের কখনোই সামরিক সমাধান ছিল না। আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করার আদর্শ সময় ছিল যখন যুক্তরাষ্ট্রের/ন্যাটো সেনাদের আফগানিস্তানে সর্বাধিক সামরিক উপস্থিতি ছিল। দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদেশী সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত থাকলেও ভিন্ন কোনো ফল পাওয়া যেতো না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৈন্য প্রত্যাহার অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত “এই সংঘাতের একটি যৌক্তিক সমাপ্তি”।
খুলনা গেজেট/এনএম