আসগর আফগানকে বিদায়ী উপহার দিলেন সতীর্থরা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে এসে দারুণ খেলে সুপার টুয়েলভে ওঠা নামিবিয়া পাত্তাই পেলো না উজ্জীবিত আফগানিস্তানের সামনে।
আবুধাবিতে আজ (রোববার) নামিবিয়াকে হেসেখেলে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে আফগানরা। ম্যাচটি তারা জিতেছে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে।
১৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনই ম্যাচে ছিল না নামিবিয়া। শুরু থেকেই তাদের ব্যাটসম্যানরা পড়ে আফগান বোলারদের তোপে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো নামিবিয়ার ‘প্রাপ্তি’ বলতে অলআউট না হওয়া। ৯ উইকেটে ৯৮ রানে থামে তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ডেভিড ওয়াইজ।
হামিদ হাসান মাত্র ৯ রানে ৩টি, নাভিন উল হক ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি উইকেট শিকার গুলবাদিন নাইবের।
এর আগে নামিবিয়ার সামনে বড় চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দেয় আফগানিস্তান। ৫ উইকেটে ১৬০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় মোহাম্মদ নবির দল।
আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বরাবরের মতো মারমুখী চেহারায় হাজির হয় আফগানরা। দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই আর রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৪০ বলে গড়েন ৫৩ রানের জুটি।
পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই ৫০ রান তুলে ফেলেছিল আফগানরা। পরের ওভারের অবশ্য জাজাই সাজঘরে ফেরেন। স্মিটকে ডিপ স্কয়ার লেগে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন এই ব্যাটার, ২৭ বলে ৩৩ রান করে।
দশম ওভারে এসে লফটি-ইটন এলবিডব্লিউ করেন ওয়ান ডাউন ব্যাটার গুরবাজকে (৮ বলে ৪)। ১৫ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় আফগানরা। তাতে করে রানের গতি কিছুটা কমে যায় তাদের।
তবে মোহাম্মদ শাহজাদ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেই ধাক্কা সামলে নেন। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়ানো এই হার্ডহিটিং ব্যাটারকে থামান ট্রাম্পেলম্যান। ৩৩ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৫ রান করেন শাহজাদ।
এরপর সুবিধা করতে পারেননি নাজিবুল্লাহ জাদরান (১১ বলে ৭)। তবে বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা আসঘর আফগান আর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবির ২০ বলে ৩৫ রানের জুটিতে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় আফগানরা।
দলীয় ইনিংসের এক ওভার বাকি থাকতে ২৩ বলে ৩১ করে আউট হন আফগান। নবি ঠিকই শেষদিকে ঝড় তোলে দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন। ১৭ বলে ৫ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন আফগান অধিনায়ক।
নামিবিয়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জ্যান লফটি-ইটন। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তিনি। ২ উইকেট পান ট্রাম্পেলম্যানও, তবে খরচ করেন ৩৪ রান।
খুলনা গেজেট/ টি আই