করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে সংক্রমণ রোধে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র গুলো উন্মুক্ত করা হলেও খুলছে না সুন্দরবন।
তাই বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকা পর্যটকদের জন্য আপাতত সুখবর নেই। তবে পরিস্থিতি ইতিবাচক থাকলে খুব বেশি দিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে না দেশি-বিদেশি পর্যটকদের এমনটাই জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
করমজল স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না মেলায় সারাদেশের ন্যায় সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য আজ উন্মুক্ত করতে পারেননি তারা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৩ এপ্রিল সুন্দরবনের পর্যটক প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর গত সাড়ে চার মাসে প্রায় ১২ লাখ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবন উন্মুক্ত করার জন্য কোন আদেশ এখনও আমার কাছে আসেনি, তাই পর্যটকদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না। আদেশ আসলেই সর্বসাধারণের জন্য সুন্দরবন উন্মুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সকল প্রকার মৎস্য ও কাকড়া শিকার বন্ধ রাখার ঘোষণা রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে মৎস্য ও কাকড়া শিকারের জন্য জেলেদের পাশপারমিট প্রদান করা হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছর ১৯ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৭ মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে খুলে দেওয়া হয়। ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বনবিভাগ। করোনা সংক্রমণরোধে তা বাড়ানো হয়। এখনো বন্ধ রয়েছে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র।
খুলনা গেজেট/এনএম