এই যুগে, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা হোক বা অফিস মিটিংয়ে বসে থাকা, এমন অনুভূতি হয় যেন সবাই কিছু প্রমাণ করার চেষ্টায় আছে। আত্মবিশ্বাস ভালো, কিন্তু যদি সব সময় সঠিক হতে হয়, জিততেই হয়, বা নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হয় তবে সেটা ইগোর প্রকাশ। আর ইগো যখন নিয়ন্ত্রণে আসে, তখন তা স্ট্রেস, ঝগড়া ও মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিটি মানুষেরই ইগো থাকে। এটা সব সময় অহংকারী আচরণে প্রকাশ পায় না ইগো হতে পারে সমালোচনা নিতে না পারা বা অন্য কেউ কৃতিত্ব পেলে মন খারাপ হওয়া। তবে সুখবর হলো, ইগো সামলানো শেখা যায়। প্রয়োজন শুধু একটু আত্মজ্ঞান ও কিছু সহজ অভ্যাস।
নিচে ৫টি উপায় তুলে ধরা হলো, যা মনোবিজ্ঞানসম্মতভাবে ইগো নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।
#সবকিছুর উত্তর দিতে হবে না
কেউ রূঢ় কিছু বলল বা দ্বিমত করলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেয়ার দরকার নেই। সব মন্তব্যের উত্তর দেয়া জরুরি নয়। ছোটখাটো ব্যাপারগুলো এড়িয়ে যাওয়া দুর্বলতা নয়, বরং শান্তি বেছে নেয়ার চিহ্ন।
# সব সময় সঠিক হতে হবে না
ইগো আমাদের বোঝাতে চায়, আমরা ভুল প্রমাণিত হলে আমাদের গুরুত্ব কমে যায়। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। অন্য কাউকে শেষ কথা বলতে দেয়া, তর্ক না করে চুপ থাকা অনেক সময় বেশি শক্তির কাজ। নিজের মান বজায় রাখার চেয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
# সব সময় সাফল্য ছোঁয়ার চাপ থেকে বিরতি নিন
সফল হতে চাওয়া ভালো, কিন্তু ‘আরও চাই’ মানসিকতা যদি অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে, তাহলে সেটা ইগোর ইঙ্গিত। মাঝে মাঝে থেমে নিজের অর্জনকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দেখা, মানসিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
# অন্যদের আলো ছড়াতে দিন
সব সময় নিজে কেন্দ্রে থাকতে হবে এমন নয়। অন্যদের কৃতিত্ব নিতে দেয়া, কথা বলতে দেয়া বা নেতৃত্ব দিতে দেয়া আপনার মর্যাদাকে ছোট করে না। বরং এটিই সত্যিকারের আত্মবিশ্বাসের চিহ্ন।
# সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা বন্ধ করুন
সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাওয়া মানে হলো নিজের মনের ভিতরের অনিশ্চয়তার বহিঃপ্রকাশ। জীবন সব সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে না। যা আপনার নিয়ন্ত্রণে, সেটার যত্ন নিন। বাকি বিষয়গুলো ছেড়ে দিন। এতে মন অনেক হালকা লাগবে।
ইগো আমাদের মাঝে থাকবে, কিন্তু সেটার দাস না হয়ে বরং মাস্টার হওয়াটাই আসল কৌশল। নিয়ন্ত্রণ করা শেখার মধ্যেই আত্মোন্নতি এবং মানসিক শান্তি লুকিয়ে আছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
খুলনা গেজেট/এএজে