আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমে যোগ দেবেন না বলে আইন মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি জানান অসুস্থতা বিবেচনায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আইনজীবী মিজানুল ইসলাম আরও জানান, তার বয়স এখন ৬৪ বছর। এ অবস্থায় রাজশাহী থেকে গিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা করা তার জন্য কষ্টকর।
গত ৭ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটর করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন টিম পুনর্গঠন করা হয়। আইনজীবী তাজুল ইসলাম ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইনজীবী তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। বাকি চার প্রসিকিউটরের মধ্যে মো. মিজানুল ইসলাম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা পাবেন। দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) এ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর সেকশন ৭ অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলা পরিচালনার জন্য পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিয়োগ কার্যকর থাকবে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায় মিজানুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যেই তিনি জানিয়ে দিলেন তিনি যোগ দেবেন না ট্রাইব্যুনালে। এখন প্রসিকিউশনে রইলো শুধু চারজন প্রসিকিউটর।
খুলনা গেজেট/এনএম