খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

আনারের খুনের ঘটনায় নেপাল-যোগ?

গেজেট ডেস্ক

আনারের খুনি

বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের খুনের ঘটনায় নেপাল-যোগ? সিআইডি এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। সূত্রের খবর, সেই কারণেই নেপাল যাচ্ছে সিআইডির একটি দল। তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, আনোয়ারুল খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান কলকাতা থেকে কাঠমান্ডু হয়ে পালিয়েছেন। কোথায় গিয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে অনুমান, হয় দুবাই নয়তো আমেরিকায় পালিয়েছেন অভিযুক্ত। সূত্র : আনন্দবাজার অনলাইন 

আনোয়ারুল খুনের ঘটনায় প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এখনও পর্যন্ত আনোয়ারুলের দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের সাংসদকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মাংসের টুকরো এবং চুল পাওয়া গিয়েছে। তা আনোয়ারুলের কি না তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তার জন্য বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় উড়িয়ে আনা হচ্ছে আনোয়ারুলের কন্যাকে।

নিউ টাউনের এই ফ্ল্যাটটি ২০১৮ সালে ভাড়া নিয়েছিলেন আমেরিকার নাগরিক আখতারুজ্জামান। সিআইডির অনুমান, ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটেই আনোয়ারুলকে নিয়ে আসা হয়। তার পর খুন করে প্রমাণ লোপাট করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই আখতারুজ্জামানের খোঁজ চলছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, খুনের ঘটনার পর পরই দেশ ছেড়েছেন তিনি। প্রথমে কলকাতা থেকে নেপালে যান আখতারুজ্জামান। তবে পরে সেখান থেকেও পালিয়েছেন তিনি। দুবাই কিংবা আমেরিকাতে চলে যেতে পারেন বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

আখতারুজ্জামান নেপালে কোথায় উঠেছিলেন, তার পর সেখানে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন ইত্যাদি প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই সিআইডির একটি দল সে দেশে যাচ্ছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত সিয়াম নেপালে থাকতে পারেন বলে সিআইডি সূত্রে খবর। এই অভিযানে সিআইডি গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন সিয়ামও।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ‘কিংপিন’ তথা নিহতের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন-সহ চার জনের বিরুদ্ধে ‘লুকআউট নোটিস’ জারি করেছে সিআইডি। কলকাতায় এসে ঝিনাইদহের সাংসদ খুনের তদন্ত করছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দাপ্রধান হারুন অর রশিদ। খুনের তদন্তে কলকাতায় এসে রবিবার নিউ টাউনের সেই ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দাপ্রধান, যেখানে হারুনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সঙ্গে ছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন তদন্তকারীদের একটি দল।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!