অবশেষে বহু প্রত্যাশিত মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক রণাঙ্গন কপিলমুনি মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতে আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর মাধ্যমে আধুনিকায়নের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, মিলনায়তন, অতিথিশালা, দৃষ্টিনন্দন পার্ক, বীরঙ্গণা গুরুদাশী পাঠাগার ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আধুনিক শিল্পকর্মের ছোঁয়ায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরীর মাধ্যমে কপিলমুনিকে আধুনিকায়নে কাজ এখন সময়ের ব্যাপার। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় প্রকল্পটি বস্তবায়নের কাজ অনেকটা এগিয়েছে।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন-১) দেবাশীষ নাগ স্বাক্ষরিত সফর সূচিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ আগামীকাল (রবিবার) বিকেলে প্রস্তাবিত কপিলমুনি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর নির্মাণ কাজ ও অন্যান্য বিষয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়, হরিঢালী উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই বিতরণ ও তার (সচিব) পিতার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, বর্তমান সরকারের ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ খননের পর নদটি প্রবাহমান হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মানে মন্ত্রনালয়ে এ উদ্যোগটি আরও দৃষ্টিনন্দন ও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় ও গ্রহনযোগ্য স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনকি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন নিকটবর্তী হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চল ভ্রমন পিয়াসীদের দৃষ্টি কাড়বে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ৪৮ ঘন্টা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৫৬ জন রাজাকারের আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ খুলনার সর্ব বৃহৎ শত্রু ঘাঁটির পতন ঘটে। ঐ দিন উপন্থিত হাজার হাজার জনতার রায়ে আত্মসমর্পণকৃত ১৫১ (৫ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়) জন রাজাকারকে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাৎক্ষণিক যুদ্ধকালিন কমান্ডাররা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালিন ইতিহাসের এক ব্যতিক্রমধর্মী অধ্যায়।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন