যশোর শংকরপুরের শাওন শেখ ওরফে টুনি হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষরা তাকে খুন করেছে। নিহত শাওন ছিল ওই এলাকার আলোচিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী এবং হত্যাকারীরাও ছিল তার সহযোগী। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত আরো ৩ জনকে আটক করেছে। সিনিয়র অফিসারদের তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি এবং চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করেছে। সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য জানান।
রোববার গভীররাতে যশোর শহর ও ঝিকরগাছা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা ও চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা শাওন হত্যায় জড়িত তিন আসামিকে আটক করে। এসময় হত্যায় ব্যবহৃত চাকু, চাইনিজ কুড়াল ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো, শহরের শংকরপুর আশ্রম রোড মুরগি ফার্মগেট এলাকার রবিউল ইসলাম সরদারের ছেলে ইয়াসিন হাসান রানা (২০), ঝিকরগাছা উপজেলার ইস্তা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের বিশ্বাসের ছেলে হাফিজুর রহমান বিশ্বাস ভ্যাবা (৩০) ও শংকরপুর গোলপাতা মোড়ের আমিন মোড়লের ছেলে জয়(১৯)। এর আগে পুলিশ গত ২৩ জুলাই রাতে আরো তিন আসামিকে আটক করে। এরা হলো, শংকরপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২০), একই এলাকার মিন্টু শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন মৃদুল (২০) ও শংকরপুর এলাকার মৃত কটার ছেলে মানিক (২৬)।
জেলা ডিবি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহত শাওন ওরফে টুনির বাবা আব্দুল হালিম শেখ ৮ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান ও ডিবি পুলিশের ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার, এসআই মফিজুল ইসলাম ও এসআই শামীম হোসেনের সমন্বয়ে যশোর ও ঝিকরগাছা এলাকায় রোববার রাতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় শাওন হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এরা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও তাদের দেখানো স্থান শংকরপুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ওই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহত শাওন এলাকার বিতর্কিত যুবক। সে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদলের সদস্য। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সে নিজ দলের সহযোগীদের হাতে খুন হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই ঈদের পরদিন রাতে শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া ছোটনের মোড়ে শাওনকে ধাওয়া করে সন্ত্রাসীরা। এরপর কমিউনিটি পুলিশিং অফিসে ঢুকে সন্ত্রাসীরা শাওনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি