প্রিমিয়ার লিগে আবার জয়ে ফিরলো ম্যানচেস্টার সিটি। শেফিল্ড ইউনাইটেডের মাঠে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। ম্যানসিটি ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও দলটির পক্ষে কাইল ওয়াকার ছাড়া আর কেউ শেফিল্ডের জালে বল জড়াতে পারেনি।
ব্রামাল লেনে ম্যানসিটি বল পজেশন থেকে শুরু করে আক্রমণ সবদিক দিয়ে শেফিল্ডকে স্রেফ গুড়িয়ে দিয়েছে। ম্যানসিটির ৬৫ ভাগ বল দখলের বিপরীতে শেফিল্ড বল পায়ে রেখেছে ৩৫ ভাগ। ম্যানসিটির ১৬ আক্রমণের বিপরীতে স্বাগতিক দল মাত্র ৩ বার আক্রমণ করতে সক্ষম হয়। এমনকি মাত্র ১ গোল পেলেও গোলমুখে ৮টি শট রাখতে সক্ষম হয় ম্যানসিটি। অপরদিকে শেফিল্ড পুরো ম্যাচে ম্যানসিটির গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিয়েছে কেবল একবার।
শনিবার দুপুরে ম্যাচের ৭ মিনিটে গোল পেতে পারতো ম্যানসিটি। কিন্তু ফেররান তোরেসের হেড দারুণ দৃঢ়তায় ঠেকিয়ে দেন শেফিল্ড গোলরক্ষক অ্যারন রামসডেল। ছয় মিনিট পর ডি ব্রুইনার কর্ণার কিক থেকে আবার সুযোগ পেলেও লাপোর্তের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচে নিয়মিতই আক্রমণ করতে থাকা ম্যানসিটি গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২৮ মিনিট পর্যন্ত।
আকাশি-নীল জার্সিধারীদের সেরা মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনার দারুণ এক অ্যাসিস্টে ২০ গজ দূর থেকে করা দুর্দান্ত হাফ ভলিতে বল জালে জড়ান ওয়াকার। প্রথমার্ধে আরও গোটা চারেক আক্রমণ করেও শেফিল্ডের জালে আর বল জড়াতে পারেনি ম্যানসিটি।
দ্বিতীয়ার্ধেও শেফিল্ড গোলরক্ষক র্যামসডেল যেন দুর্গ হয়ে দাঁড়ান সিটি ফুটবলারদের সামনে। শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া ছাড়া প্রতিটি বলই দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন এই ইংলিশ গোলরক্ষক। ম্যাচের ৭০ মিনিটে একমাত্র শক্ত আক্রমণ করে শেফিল্ড ইউনাইটেড। কিন্তু লান্ডস্ট্রামের শট অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে উঁড়ে যায়।
এই জয়ে ৬ ম্যাচে ৩ জয় ও ২ ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সাতে উঠে এসেছে ম্যানসিটি। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট ও ৫ গোল ব্যবধান নিয়ে চলতি প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে আছে এভারটন।
দিনের প্রথম ম্যাচে উল্ভস ২-০ গোলের জয় দেখে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে। দলটির পক্ষে গোল দুটি করেন রায়ান আইত-নুরি এবং ড্যানিয়েল পোডেন্স। এই জয়ে উল্ভস ১৩ পয়েন্ট অর্জন করলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তালিকার তিনে অবস্থান করছে।
খুলনা গেজট/এএমআর