পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পর দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বানদিয়াল বলেছেন, বিষয়টি দেশের শীর্ষ আদালতের আদেশের অধীন। এ বিষয়ে আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানেরই উচিৎ নয় অসাংবিধানিক কোনো পদক্ষেপ নেয়া এবং কারও-ই পরিস্থিতি থেকে সুযোগ নেয়া উচিৎ নয়।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুপারিশক্রমে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি রোববার পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার বিষয়টি প্রধান বিচারপতির গোচরে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারকের একটি বেঞ্চ রোববার এ বিষয়ে শুনানি করেছে। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি পর্যবেক্ষণে বলেন, পার্লামন্টে ভেঙে দেয়ার বিষয়টি আদালতের আদেশের অধীন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে রোববারই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধীদল। তবে স্পিকার বিষয়টিকে অসংবিধানিক বলে উল্লেখ করে নাকচ করে দেন। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করেন প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রেসিডেন্ট তা অনুমোদন দেন। এতে আগামী তিন মাসের মধ্যে পাকিস্তানে আগাম সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা।
আইনজীবী আসাদ রহিম জানান, প্রধান বিচারপতির এ পর্যবেক্ষণের ফলে পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি এখন অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
রোববারের শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া উচিত নয়। সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে, জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। রমজান মাসের কারণে আদালত শুনানি দীর্ঘায়িত করতে চায় না।’
ডেপুটি স্পিকারের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আদেশ স্থগিত করা সংক্রান্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) একটি আবেদন নাকচ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি ডেপুটি স্পিকারের এ সংক্রান্ত আদেশের অনুলিপি পরদিন দাখিল করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন।