যশোর সদর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের গৃহবধু সুমাইয়া আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
নিহতের মা সদুল্লাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী খানের স্ত্রী আরজিন খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী কোহিনুর বেগম, দুই ছেলে নুরুজ্জামান ও তুহিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ মার্চ আসামি নুরুজ্জামান পরিবারিকভাবে সুমাইয়াকে বিয়ে করেন। নুরুজ্জামান স্ত্রীকে নিয়ে সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের ওয়াহেদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতে আসামি নুরুজ্জামান যৌতুকের দাবিতে সুমাইয়ার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে সুমাইয়া তার পিতার বাড়ি থেকে ১০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এনে ৩ দশমিক ৯০ শতক জমি কিনে স্বামীর নামে লিখে দেন। এরপর কিছুদিন সুমাইয়ার সংসার সুখের হলেও স্বামীর পরকীয়ায় আবারও অশান্তি শুরু হয়। নানা অজুহাতে নুরুজ্জামান স্ত্রীকে মারপিট ও আত্মহত্যা করতে বলতেন। গত ১২ মে সুমাইয়াকে আসামিরা মারপিট করেন। সংবাদ পেয়ে তার মা ও বোন ভাড়া বাসায় যান। আসামিদের উপস্থিতিতে কথাবার্তা বলে সুমাইয়ার বোন জিনিয়াকে বাসায় রেখে আসেন তার মা। ১৭ মে আসামিরা সুমাইয়াকে তার বোনের সামনে মারপিট করে ও আত্মহত্যা করতে বলেন। এরপর গভীররাতে সুমাইয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় তার মা রোববার আদালতে এ মামলা করেছেন।