জীবনে উত্থান-পতন রয়েছে। সুসময়ে তো অনেকই পাশে থাকেন। কিন্তু দুঃসময়ে খুব কম সংখ্যক মানুষই পাশে দাঁড়ায় আমাদের। আর জীবনের বিভিন্ন ধাপে যাদের আমরা পাশে পাই, তারা মূলত আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী ও মঙ্গল প্রত্যাশী। তারা আমাদের জন্য ভালো কিছুর চেষ্টা করেন। ভালো কিছু করতে না পারলেও অন্তত খারাপ কিছু প্রত্যাশা করেন না।
জীবনের নানা ক্ষেত্রে তাদের ছোট ছোট সহযোগিতায় আমাদের জীবন আরও সুন্দর, সহজ, আনন্দের ও সাফল্যময় হয়ে উঠে। এ কারণে সেসব মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি আমরা। কিন্তু এই কৃতজ্ঞতা সবসময় প্রকাশ করা হয় না। কখনো আবার প্রকাশ করতে চেয়েও হয়ে উঠে না। তবে আজ আপনি চাইলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন। কারণ আজ কৃতজ্ঞতা দিবস।
অনেক সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে বলা হয়―কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। প্রকৃত অর্থেই কৃতজ্ঞতা কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে আমাদের আচার-ব্যবহার ও দৃষ্টিভঙ্গিতে ফুটে উঠে। আবার কখনো কখনো ‘ধন্যবাদ’, ছোট্ট এই শব্দের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ হয় কৃতজ্ঞতার।
এই ছোট্ট একটি শব্দের মাধ্যমে হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সেসব মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও গভীর করা যায়। সম্পর্ক আরও অনেক দূর এগিয়ে নেয়া যায়। কেননা, প্রতিটি মানুষ প্রশংসা পছন্দ করেন। কেউ কোনো কাজ, সহযোগিতা কিংবা উপকার করলে সেটির প্রশংসা করাও এক প্রকার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্ব, আত্মসম্মান ও মর্যাদাবোধ বাড়ে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি আন্তর্জাতিক সমাবেশে বৈশ্বিক জিনিসের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা প্রকাশের জন্য বছরে একটি দিন নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সমাবেশে অংশ নেয়া অনেকে নিজ দেশে ফিরে ১৯৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কৃতজ্ঞতা দিবস পালন করে। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ২১ সেপ্টেম্বর কৃতজ্ঞতা দিবস পালন করে আসছে অনেকে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দিবসটি পালনকারীর সংখ্যা বেড়ে চলছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে