খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে শীত

গেজেট ডেস্ক

মাঘের শীতে গতকাল বৃহস্পতিবার কষ্টের মাত্রা বাড়িয়েছে বৃষ্টি। খুলনা, যশোর, বরিশালসহ দেশের দক্ষিণের নানা স্থানে অনেক সময় ধরে বৃষ্টি হয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতেও। এতে মানুষের কষ্ট বেড়েছে।

পুরো রংপুর বিভাগসহ গতকাল ১০ জেলায় বয়ে গেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, কোনো এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে চার জেলায় স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ হলেও প্রাথমিকের ক্লাস চলেছে। আবার কোনো স্থানে শিক্ষার্থীরা স্কুলে উপস্থিত হওয়ার পর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবার শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়তে পারে। আর সেই সঙ্গে পাঁচ বিভাগের দু–এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপমাত্রা আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ শীত থাকছে আরও কয়েক দিন।

দক্ষিণের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি যে হবে তা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় যশোরে, ২২ মিলিমিটার। আর চুয়াডাঙ্গায় ২০ ও সাতক্ষীরায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

বৃষ্টিতে এসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীদের। গত বুধবার সন্ধ্যায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখার কোনো ঘোষণা না এলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের প্রভাব পড়ে সেখানে। এতে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবার শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়তে পারে। আর সেই সঙ্গে পাঁচ বিভাগের দু–এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপমাত্রা আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।

শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রামের স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে ১০ দিন ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এ জেলার প্রাথমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় গতকাল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শ্রেণির পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে এই নির্দেশনা পেতে দেরি হওয়ায় পাঠদান শুরুর পর জেলার বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে বেলা পৌনে ১১টা থেকে সোয়া ১১টায়।

গতকাল রংপুর বিভাগের সব কটি জেলা এবং কিশোরগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ এসব অঞ্চল তো বটেই আরও নতুন নতুন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের পরিধি বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছে। সেই অনুযায়ী আজ খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের দু–এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

গতকাল মধ্যরাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, আজ রাতে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। তাতে শীত আরও বাড়বে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এমনটাই চলবে। এরপর তাপমাত্রা একটু বাড়লেও শীত মাসজুড়েই থাকবে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!