দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গত কয়েক দিন যাবত মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২২ শতাংশ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। রোদের তাপের কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা। অতি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন তেমন বাইরে বের হচ্ছে না। দিনমজুররা দুপুরের আগেই কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছেন বলে অধিকাংশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডে গরমজনিত রোগীর চাপ নেই। অন্যান্য সময়ের মতো স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান।
চলমান দাবদাহে সকল শ্রেণির মানুষকে সতর্ক করে পরামর্শ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান গনমাধ্যমকে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে।
অপরদিকে, চলমান দাবদাহে ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা গনমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী আরও কিছুদিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমতাবস্থায় ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান গনমাধ্যমকে বলেন, আজ বুধবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ নিয়ে টানা দুই দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হলো। চলমান তাপপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।
খুলনা গেজেট/এএজে