বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি মাইনর অপারেশন করা হয়েছে। এখন তিনি আইসিইউতে আছেন।
সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন। খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের একটি মাইনর অপারেশন হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা দেখলেন, তার একটি বায়োপসি করা দরকার। ছোট লাম্প আছে এক জায়গায়। যেহেতু লাম্প আছে, এর ন্যাচার জানার জন্য বায়োপসি করা হয়েছে। অপারেশনের পর বেগম জিয়া সুস্থ আছেন।
অপারেশনের পর ফল পেতে কেমন সময় লাগতে পারে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বায়োপসি করার পরিপ্রেক্ষিতে রেজাল্ট পেতে সময় লাগে। ৭২ ঘণ্টাও লাগতে পারে। আবার এ ধরনের অপারেশনের পর কখনো ১৫-২১ দিনও সময় লাগে। আজই বলা যাবে না।
ডা. জাহিদ বলেন, অপারেশনের পর খালেদা জিয়ার ভাইটাল প্যারামিটারগুলো স্ট্যাবল আছে। এখন তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। বায়োপসি ডায়গনস্টিক পার্ট, পরের চিকিৎসা কী হবে, সেটা ঠিক হবে পরে। অপারেশনের পরে তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে ছেলে তারেক রহমান কথা বলেছেন। ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিথিও কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ডেডিকেটেড হাসপাতালে তার চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। দেশের বাইরে যেন তার চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়, সেক্ষেত্রে সবাই যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিয়েছে। বিভিন্ন পুরনো রোগ থাকায় তার মাল্টি অ্যাডভান্সড সেন্টারে চিকিৎসা প্রয়োজন। আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে এ ব্যবস্থা নেই। এটা আমরা বারবার বলে আসছি।
অপারেশনের পর খালেদা জিয়া কেমন আছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাডাম এখন বিদপমুক্ত। তিনি ভালো আছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তার মুক্তিতে আইনগত বাধা আছে বলে মনে করি না। কেন তিনি জামিন পাবেন না? জামিন তার প্রাপ্য, এটা অধিকার, দয়া নয়। জামিন পাওয়া তার অধিকার। অবিলম্বে তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. আল মামুন, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার।
খালেদা জিয়ার অপারেশনের আগে তাকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, পুত্রবধূ সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিথি, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন ও ডা. আল মামুন।
গত ১২ অক্টোবর জ্বর আসায় খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে টানা ৫৪ দিন একই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খালেদা জিয়া।
খুলনা গেজেট/ টি আই