ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরের প্রধান স্পন্সর থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ভিভো। ২০১৮ সালে ২ হাজার ১৯৯ কোটি রুপির বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের প্রধান স্পন্সরশীপ পায় ভিভো। সেই চুক্তি অনুযায়ী এবারের আসরেও আইপিএলের প্রধান স্পন্সর হিসেবে থাকার কথা ছিল ভিভোর।
রোববার আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বৈঠকেও ঠিক হয়, ভিভোকেই প্রধান স্পন্সর হিসেবে রাখা হবে আইপিএলের। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর তীব্র সমালোচনার পর এবারের আসর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে চীনের এই মোবাইলফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।
মূলত ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষের কারণে যে সংস্থাকে বয়কটের ডাক উঠেছিল। কারণ ভারত সরকার টিকটকসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপকে সেই সংঘর্ষের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে কেন ভিভোকে আইপিএলের স্পন্সর থেকে বাদ দেয়া হবে না সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতের নাগরিকরা।
এ নিয়ে বিসিসিআইয়ের মধ্যেও মত বিরোধ ছিল। এক কর্মকর্তা বিসিসিআইয়ের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারতীয় সেনারা যখন সীমান্তে চিনের সোনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ দিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধে পরিবেশ তৈরি হয়ে রয়েছে। দেশজুড়ে চীনা অ্যাপ বর্জন করা হয়েছে। সেখানেই উল্টো পথে হেঁটে বিসিসিআই ভিভোর মতো চিনা সংস্থাকে আইপিএলের স্পনসর হিসেবে রেখে দিয়ে দেশকে অসম্মান করল।’
এবারের আসরে আইপিএলে স্পন্সর হিসেবে না থাকলেও ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৩ আইপিএলে স্পন্সর হিসেবে থাকতে চায় ভিভো। এ বছর তারা বিরতিতে যাচ্ছে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএমআর