সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মাঠে গড়াচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) স্থগিত হওয়া এবারের আসর। গেল ২৯ মে বোর্ড সভা শেষে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ালেও আইপিএলের বাকি অংশে বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
কারণ সেই সময় দেশের হয়ে খেলতে ব্যস্ত থাকবেন আইপিএলের বিদেশি ক্রিকেটাররা। ফলে তাদের পেতে বেগ পোহাতে হবে বিসিসিআইকে। কিন্তু বিদেশি তারকাদের আইপিএলের বাকি অংশে পেতে মরিয়া ভারত। তারা জানিয়েছে, কোন বিদেশি ক্রিকেটার আইপিএলের বাকি অংশে খেলতে না আসলে নিলামে পাওয়া পারিশ্রমিকের অর্ধেক অংশ কেটে নেয়া হবে।
বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মাঝ পথেই স্থগিত করা হয়েছিল আইপিএলের ১৪তম আসর। টুর্নামেন্টটি স্থগিত হওয়ায় আর্থিকভাবে বড়ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বিসিসিআইকে। যে কারণে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ মাঠে গড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
আইপিএলের প্রথম অংশে বিশ্বের বেশিরভাগ বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া গেলেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় অংশে তাদের পাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বিসিসিআইকে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবের সময়টায় আন্তর্জাতিক সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের।
ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়েছে, জস বাটলার-ইয়ন মরগানদের আইপিএলে খেলতে দেবে না তারা। প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেয়া হবে তবুও আইপিএল খেলতে দেয়া হবে না। বোর্ডের দেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁরা যদি আইপিএলের বাকি অংশে না খেলতে যান তাহলে তাদের অর্ধেক পারিশ্রমিক কেটে নেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও ঘটবে একই ঘটনা। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজ থাকায় আইপিএলের বাকি অংশে খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের। ফলে পারিশ্রমিক কাঁটা পড়বে তাদেরও। উদাহরণ স্বরূপ সাকিবকে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু দ্বিতীয় অংশে খেলতে না গেলে সাকিব পাবেন ১ কোটি ৬০ লাখ রুপি। একইভাবে ১ কোটি রুপিতে মুস্তাফিজকে রাজস্থান রয়্যালস দলে ভেড়ালেও খেলতে না গেলে তিনি পাবেন মাত্র ৫০ লাখ রুপি। একজন ক্রিকেটার খেলা কিংবা ক্যাম্প চলাকালীন ইনজুরি পড়লেও পুরো টাকা দিয়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
কিন্তু এবার ক্রিকেটারদের আইপিএলের বাকি অংশ খেলানোর প্রচেষ্টায় এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএল কতৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র ইনসাইড স্পোর্টসকে বলেছে যে, ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি। যদি কোন কারণে তারা (বিদেশি ক্রিকেটার) সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল না খেলতে পারে তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের (ক্রিকেটারদের) পারিশ্রমিক কর্তন করবে। তারা (ফ্র্যাঞ্চাইজি) তাদেরকে (ক্রিকেটারদের) প্রো রাটা ভিত্তিতে বেতন দেবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম