খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গেল ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৩
  এনবিআরে তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে ফেরার আহবান, অন্যথায় ব্যবস্থা : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

আইপিএলে নিষিদ্ধ হচ্ছেন দুই ধারাভাষ্যকার !

ক্রীড়া প্রতি‌বেদক

চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসরে এবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে এবং সায়মন ডুল।কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সের পিচ এবং কিউরেটরের কাজ নিয়ে সমালোচনা করে এবার বড় ধরনের বিতর্কের মুখে পড়েছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এর জের ধরে ইডেনে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতে ধারাভাষ্য দেওয়া থেকে তাদের নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জীকে নিয়ে ভোগলে ও ডুলের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষ। তাদের অসন্তোষের কারণেই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) নড়েচড়ে বসেছে এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) অনুরোধ করেছে যেন ইডেনে কেকেআরের ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্য প্যানেলে ভোগলে ও ডুলকে না রাখা হয়। এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের কাছে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে সিএবি।

মূলত, ক্রিকবাজে এক আলোচনায় সায়মন ডুল ইডেন গার্ডেন্সের কিউরেটরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যদি কিউরেটর স্বাগতিক দল কী ধরনের পিচ চায় সেদিকে মনোযোগ না দেন তাহলে কেকেআরের অন্য হোম ভেন্যু খুঁজে নেওয়া উচিত। ডুলের মতে কিউরেটরের কাজ খেলার ব্যাপারে মতামত দেওয়া নয় বরং ফ্র্যাঞ্চাইজির চাহিদা অনুযায়ী উইকেট প্রস্তুত করা। ডুলের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছিলেন হার্শা ভোগলেও।

তিনিও একই আলোচনায় বলেছিলেন, ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা হিসেবে কেকেআর তাদের স্পিনারদের (বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারাইন) জন্য উপযুক্ত স্পিন-সহায়ক উইকেট পাওয়া উচিত ছিল, যেমনটা দল চেয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে উইকেটটি পেস-সহায়ক হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

যদিও সিএবি এই পুরো ঘটনায় কিউরেটর সুজন মুখার্জীর পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের ধারণা, কিউরেটর যথাযথ নির্দেশ মেনেই উইকেট প্রস্তুত করেছেন। এদিকে, সিএবির এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিসিসিআই কর্তৃপক্ষ। বোর্ডের কর্মকর্তাদের একাংশের মধ্যে নাকি ভোগলে ও ডুলকে ইডেনে আর ধারাভাষ্য করতে না দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সমর্থনও রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এ মাসের শেষের দিকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!