শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে আশাবাদি ছিলো বাংলাদেশ। সিরিজ স্থগিত হওয়ায় হতাশা ক্রিকেটারদের। তবে একটু বেশীই আক্ষেপ পেসার মোস্তাফিজের। না খেলা হলো আইপিএলে না হলো দেশ মাতৃকার কল্যাণে লঙ্কা বধের মিশনে নামা। আইপিএল’র চলতি আসরে খেলতে পারলে ১ কোটি টাকা শুধু চুক্তি বাবদই পেতেন। দৈনন্দিন ভাতা তো ছিলই। সব মিলে এক মাসের এই আসরে এক কোটি টাকারও অধিক আয়ের সুযোগ ছিল দেশ সেরা এই পেসারের। কিন্তু দেশের কথা ভেবে মোটা অঙ্কের এই আয় জলাঞ্জলি দিলেন। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! শেষ বেলায় এসে শ্রীলঙ্কা সিরিজও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল। কোটি টাকা প্রাপ্তি হাতছাড়া হয়ে গেলেও মোস্তাফিজের আক্ষেপ খেলতে না পারায়। শ্রীলঙ্কা সিরিজ না হওয়ায় আইপিএলে অন্তত মাঠে নিজের পারফরমেন্সটা দেখাতে পারতেন।
কোটি টাকা নয়, দেশ আগে। এই ভাবনা থেকেই কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ডাকে সাড়া দেননি ‘দ্য ফিজ’। এরপরেও যখন গাইগুই করছিল তখন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই কর্মস্থল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শরণাপন্ন হতে বললেন। তারা হয়েছিলেনও। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। শ্রীলঙ্কা সিরিজ সমাগত বিধায় দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই বিসিবি শূণ্য হাতে ফিরিয়ে দেয়।
মোস্তাফিজও এতে বিন্দু মাত্র কষ্ট পাননি। আর যাই হোক দেশের কল্যাণেই তো। কিন্তু ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইন নিয়ে লঙ্কান সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে গতকাল বিসিবি সভাপতি যখন জানিয়ে দিলেন সিরিজটি এই মুহূর্তে হচ্ছে না তখন তো তার কষ্ট হওয়ারই কথা। আর যাই হোক, করোনাকালে ক্রিকেটহীন থাকায় যে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন তার কিছুটা হলেও তো আইপিএল খেলে পুষিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো তেমন কোনো কষ্ট বা খেদ তার নেই। বরং যা হয়েছে তা নিয়তি বলেই মেনে নিচ্ছেন অভিষেকেই চমকে দেওয়া এই টাইগার পেসার।
‘সিরিজটা হলে ভালো হত। সিরিজটা হবে না প্রথম থেকে জানতে পারলে হয়ত বিসিবি আইপিএল’র জন্য এনওসি দিত। যা হয় ভালোর জন্যই হয়। এবার আইপিএল খেলতে পারলে ১ কোটি টাকা পেতাম।’
তার ভাষ্য, ‘কী আর করব বলুন? আমাদের সবার মন খারাপ। মাঠে ফেরার সুযোগ এসেছিল। মনে হচ্ছিল করোনার ভয়াল থাবার ভেতরেও আমরা আবার ক্রিকেটে ফিরব। আবার বল ও ব্যাট হাতে মাঠে নামব। টেস্ট খেলার আশায় প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। আমি সাদা বলের চেয়ে লাল বলেই অনুশীলন করেছি বেশি। কিন্তু হায়! শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল হয়ে গেল। সবার মতো আমারও মন খুব খারাপ।’
খুলনা গেজেট/এএমআর