খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ পৌষ, ১৪৩১ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে এক জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৪
  বগুড়ায় ট্রাকচাপায় বাবা-মেয়েসহ নিহত ৩
  আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে : আসিফ নজরুল

আইএমএফের হিসাবে এখন দেশের রিজার্ভ কত, জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক

গেজেট ডেস্ক

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে। বিদেশি কারেন্সিতে গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে উঠেছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার বাইরে আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ সাপ্তাহিক (বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে (বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে অর্থনীতির স্পর্শকাতর সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এসময়ে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বেড়েছে ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

প্রতিদিনই রিজার্ভ কমে বা বাড়ে। সরকারের জ্বালানিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে পণ্যের আমদানি মূল্য, বিদেশি ঋণ বা ঋণের সুদ বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হয়। ফলে রিজার্ভ ক্ষয় হয়। আবার বিদেশি ঋণ কিংবা ঋণের সুদ এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কেনা হয়। ফলে রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হয়।

সেই অনুযায়ী সদ্য সমাপ্ত মাসের পাঁচ সপ্তাহে (১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে রিজার্ভ ৫বার কমলো ও বাড়লো। আলোচ্য সপ্তাহে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক দায় পরিশোধ করা হয়নি। ফলে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ বেড়েছে।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত, একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!