খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ২৫০, বাংলাদেশ পেল ৫ উইকেট

আইএমএফের ঋণ শর্তের অসম প্রভাবের শঙ্কায় টিআইবি উদ্বিগ্ন

গেজেট ডেস্ক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের সম্ভাব্য বৈষম্যমূলক প্রভাব বিবেচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বিষয়ে তারা নিজস্ব নীতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে।

শনিবার টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশকে চার দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে আইএমএফের কিছু শর্তের বৈষম্যমূূলক প্রভাব নিয়ে টিআইবি উদ্বিগ্ন। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে নিজস্ব নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি সংস্কারের শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এই শর্তের সম্ভাব্য অসম প্রভাবের বিষয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবি বলেছে, শর্তের পুরো প্যাকেজকে এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে অতিরিক্ত চাপে থাকা সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাব আরও বেড়ে না যায়।

বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির নীতিগত বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ আলোচনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কৌশলগত মনোযোগ দিতে হতাশাজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে আইএমএফ। এসব পদক্ষেপ না নিয়ে তৈরি করা শর্তের প্যাকেজ কাঙ্খিত উদ্দেশ্য অর্জনের সম্ভাবনা কম। উল্টো দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাবের বাড়তি বোঝা তৈরি হবে।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘আইএমএফের দেওয়া শর্ত প্রায়শই কঠিন এবং অপ্রীতিকর হয়। তবে প্রশ্ন হলো, শর্তের প্যাকেজ কি জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়; নাকি তা জনগণের জন্যই বিপরীতমুখী ফল বয়ে আনে?’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আইএমএফ প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশের নিম্ন কর-জিডিপি অনুপাত নিয়ে উদ্বেগ যথার্থ। কিন্তু ভ্যাটের ওপর আইএমএফের প্রস্তাবিত কৌশলের নির্ভরতা উদ্বেগজনক। এর বৈষম্যমূলক প্রভাব সর্বজনবিদিত।

অন্যদিকে, ব্যাপক কর ফাঁকি, অর্থ পাচার, মিস ইনভয়েসিং ভিত্তিক অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য পদক্ষেপের কোনো ইঙ্গিত তাদের শর্তে নেই। দেশ ও দেশের বাইরে আর্থিক লেনদেনের তথ্যের স্বয়ংক্রিয় আদান-প্রদানের জন্য কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস) গ্রহণ করা গেলে এসব দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ করা সম্ভব হতো।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার রোধে সুনির্দিষ্টভাবে আইএমএফ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আন্তর্জাতিক ঋণদাতা এই প্রতিষ্ঠান নিজেদের সম্পর্কে যা প্রচার করে, তা অনুশীলনও করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!