এবারের বিশ্বকাপের শুরুটা জয় দিয়ে হলেও পরের ৬ ম্যাচে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়ে হারে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ৮ ম্যাচে একবারও তিনশর ঘর ছুঁতে পারেনি টাইগাররা। সর্বোচ্চ রানের (২৮২) ইনিংসটি ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অবশেষে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনশ পেরুতে সক্ষম হলো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। অজিদের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করেছে নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী।
শনিবার (১১ নভেম্বর) পুনেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে কোনো রানই তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। মেডেন ওভার আদায় করে নেন জস হ্যাজেলউড। দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ তামিম ও লিটন কুমার তুলেন ১০ রান। পাওয়ার প্লে শেষে টাইগারদের সংগ্রহটা দাঁড়ায় ৬২।
পাওয়ার প্লে শেষে আগ্রসী ব্যাটিং শুরু করেন তামিম। মার্শের ওভারে টানা ২টি চার মারেন তিনি। ওই ওভারে আসে ১৩ রান। ৩৩ বলে তামিম তুলে নেন ৩৬ রান। পরের ওভারেই শন অ্যাবোটের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দৌড়ে গিয়ে তামিমের ক্যাচ নিজেই ধরেন অ্যাবোট।
তামিমের মতো লিটনও থামেন ৩৬ রানে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে এগোতে থাকে বাংলাদেশের রানের চাকা। ২৫ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই দেড়শ তুলে নেয় টাইগাররা। ভুল কলে ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হন শান্ত। ৬৪ রানে ভাঙে তাদের জুটি। শন অ্যাবোটের করা বলকে শর্টের দিকে ঠেলে এক রান নেন শান্ত। এক রান পূর্ণ করে ডাবল নেয়ার জন্য দৌড়েন দুই টাইগার ব্যাটার। ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে স্ট্রাইকপ্রান্তেই রানআউট হন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। ৫৭ বলে ৪৫ রান করেন তিনি।
এরপর হৃদয়কে সঙ্গ দিয়ে ২৮ বলে ৩২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে রানআউট করেন লাবুশেন। ২৪ বলে মুশফিকুর রহিম করেন ২১ রান। সেঞ্চুরির দিকে দৌড়াচ্ছিলেন হৃদয়। তবে মার্কাস স্টোইনিসের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে লাবুশেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৭৯ বলে ৭৪ রান করতে ৫টি চার ও ২টি ছয় হাঁকান হৃদয়। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ২০ বলে ২৯, নাসুম আহমেদ ৭ ও শেখ মেহেদী ২ রান করেন।
খুলনা গেজেট/এমএম