অর্থ পাচার মামলায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের (ইডি)। বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ৩টার দিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার বার এ অভিনেত্রীকে তলব করে ইডি। কিন্তু প্রত্যেক বারই তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হলো না। ইডি কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হতে হলো তাকে।
জানা গেছে, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছে নাকি বিদেশে টাকা পাঠাতেন জ্যাকুলিন। সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ ইডি কর্তাদের হাতে এসেছে। এর আগে সুকেশ এবং তার স্ত্রীর বাড়ি তল্লাশিও হয়েছে। এই গোটা মামলায় বলিউডের বেশ কিছু তারকা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে সন্দেহ ইডির।
বুধবার ইডির পক্ষ থেকে জ্যাকুলিনকে যেসব প্রশ্ন করা হয়, তা হলো :
১) কবে প্রথম সুকেশ অথবা তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পালের সঙ্গে দেখা হয় জ্যাকুলিনের?
২) সুকেশের সঙ্গে কি ফোনে কথা হতো জ্যাকুলিনের? উত্তর হ্যাঁ, হলে কতবার কথা হয়েছে?
৩) সুকেশের সঙ্গে কখনো দেখা করেছেন জ্যাকুলিন?
৪) গত তিন বছরে সুকেশ এবং তার স্ত্রীয়ের সঙ্গে জ্যাকুলিনের কোনো আর্থিক বা ব্যবসায়িক লেনদেন কি হয়েছে?
৫) সুকেশ এবং তার স্ত্রীয়ের কাছ থেকে কী কোনো উপহার পেয়েছেন জ্যাকুলিন? সেই উপহার কী?
এর আগে দিল্লি পুলিশের ইকনমিক অফেনসেস উইং সুকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তার বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। চেন্নাইয়ের বাংলোতে তল্লাশি চালিয়ে ৮২ লাখ টাকা, দুই কেজি সোনা, ১৬টি দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন ইডির কর্তারা। এরপরই জ্যাকুলিনের নাম সামনে আসে। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) নিরিখে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এক বছরের মধ্যে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে নিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। দিল্লির রোহিনী জেলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এ ধরনের আরও ২০টি মামলা আছে তার বিরুদ্ধে। জেলের ভেতরে বসে টাকা আত্মসাতের সঙ্গেও জড়িত চন্দ্রশেখর।
২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার মিস ইউনিভার্স পেজেন্ট জিতেছিলেন জ্যাকুলিন। ২০০৯ সালে ‘আলাদিন’ ছবির হাত ধরে বলিউডে প্রবেশ করেন সিংহলি কন্যা। ‘মার্ডার টু’, ‘হাউজফুল টু’, ‘রেস টু’, ‘কিক’, ‘হাউজফুল থ্রি’-র মতো ছবিতে কাজ করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই