জার্মানির নুরেমবার্গে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের একটি দল। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিশ্বের ১৪৩ টি দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দেশের মধ্যে একমাত্র দল হিসেবে নুরেমবার্গের এই মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের জন্য সুযোগ পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের দলটি। দলে সদস্য হিসেবে আছেন আইন ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বৈশাখী খাতুন, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তন্ময় হালদার ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শতাব্দী দাশ।
তারা জানান, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তাদের যাতায়াত, থাকা, খাওয়া ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য প্রায় ৯ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু আইন ডিসিপ্লিন নতুন ডিসিপ্লিন হওয়ায় এই ব্যয়বহুল খরচ ডিসিপ্লিনের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হলে তারা কিছু টাকার ব্যবস্থা করবেন বলেছেন যা ব্যয়ের তুলনায় খুবই সামান্য বলে জানান তারা। দ্রুত প্রয়োজনীয় টাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে, সুবর্ণ এই সুযোগ পেয়েও অংশগ্রহণ করতে পারবে না তারা।
এ ব্যাপারে দলের তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক মো. তারিক মোর্শেদ বলেন, “বাংলাদেশের একমাত্র দল হিসেবে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নেয়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দলের জন্য একটি বড় অর্জন। তবে, আর্থিক সংকটের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে সেটা অত্যন্ত হতাশাজনক ব্যাপার হবে। তাই সকলকে তাদের জায়গা থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে দলটি জার্মানি থেকে আমাদের দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনতে পারে।”
দলের সদস্য তন্ময় হালদার বলেন, “একজন আইনের শিক্ষার্থী হিসেবে আন্তর্জাতিক একটি মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা অনেক মর্যাদাপূর্ণ একটি বিষয়।সমগ্র বিশ্বব্যাপী আইনের শিক্ষার্থীদের কাছে এই নুরেমবার্গ মুট কোর্ট কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করাটা এক স্বপ্নের মতো। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবো। কিন্তু যথাযথ আর্থিক সংগতি না থাকার দরুন আমাদের এই কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করা এক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। এমতাবস্থায় আমরা যদি পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা পাই তাহলে আমার বিশ্বাস আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশকে স্বমহিমায় বিশ্ব অঙ্গনে তুলে ধরতে পারবো।”
খুলনা গেজেট/এএজে