যশোর অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় তিন বেসরকারি ক্লিনিকের প্যাথলজিসহ ও ছয়টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষনা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীনের নের্তৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় এ নির্দেশ দেয়।
এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্যে আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম মাহামুদুর রহমান রিজভী বলেন, ‘উপজেলার নওয়াপাড়া শহরে অবস্থিত ১৪টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে নওয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক, আল-মদিনা ক্লিনিক ও আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতাল, পালস্ ডায়াগনস্টিক, লাইফ কেয়ার, পপুলার ও নওয়াপাড়া ডায়াগনস্টিকের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নওয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক, আল-মদিনা ক্লিনিক ও আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালে প্যাথলজি ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট পাওয়া গেছে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়াও ফয়সাল ডায়াগনস্টিক ও ল্যাবওয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, নওয়াপাড়ায় বেসরকারিভাবে পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান গুলো মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এলবি হাসপাতাল ও আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতাল ছাড়া কোনো ক্লিনিকেরই অপারেশন থিয়েটারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নেই। এমনকি পোস্ট অপারেটিভ রুমের ব্যবস্থা নেই। এক্স-রে বিভাগ পরিচালনার জন্য পরমানু শক্তি কমিশনের অনুমোদন নেই। প্রতিটি ক্লিনিকে বেডের সংখ্যা রয়েছে আবেদিত সংখ্যার চেয়ে বেশি। রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দেয়ার জন্যে এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার ও ডিপ্লোমা পাস নার্স পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, অবৈধভাবে পরিচালিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষকে আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে নতুন লাইসেন্স ও মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স নবায়ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অন্যথায় স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করার হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
অভিযানিক টিমে ছিলেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অর্থো-সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার শেখ মোহাম্মদ আলী, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আহম্মেদ ফয়সাল পাভেল, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, অভয়নগর থানার এসআই নাসির উদ্দিনসহ পুলিশ সদস্যরা।
খুলনা গেজেট/এনএম