যশোরের অভয়নগর উপজেলার এসআর শুভরাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে বিরোধের জের ধরে জিয়াউর রহমান ফকির (৪০) হত্যাকান্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত জিয়াউর রহমানের মা হাজেরা বেগমও স্কুলের কমিটি নিয়ে বিরোধে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার শুভরাঢ়া ইউনিয়নের রানাগাতী গ্রামে জাবের বিশ্বাসের চায়ের দোকানে ককটেল বোমা হামলায় জিয়াউর রহমান ফকির (৪০) নিহত হন। পরে হত্যাকান্ডের ঘটনায় শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে নিহত জিয়াউর রহমানের মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার বাদী হাজেরা বেগম জানান, জিয়াউর রহমান স্থানীয় এসআর শুভরাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে আক্তার মল্লিকের পক্ষে কাজ করছিলেন। এ কারণে হত্যাকান্ডের তিনদিন পূর্বে শুভরাড়া গ্রামের ইয়াকুব শেখের ছেলে নছর শেখ, তুরান শেখ, সুবান শেখ, খুরশিদ শেখ, রানাগাতী গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে আশরাফুল শেখ, সুবান মল্লিকের ছেলে নান্নু মল্লিক, এনামুল মল্লিক, আজগর শেখের ছেলে জামির শেখ জিয়াউর রহমানেরকে নির্বাচনে আক্তার মল্লিকের পক্ষে কাজ করতে নিষেধ করে। কথা না শুনলে তাকে হত্যা করার হুমকিও দেয় তারা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, তার ছেলে চরমপন্থী দলের সদস্য নয়, সে অন্যের পানের বরজে দিনমজুরের কাজ করতো। ছেলে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, ঘটনার একদিন পর শনিবার রাতে নিহতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃৃতিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছেন। পুলিশ হত্যাকান্ডের তদন্ত করছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের রানাগাতী গ্রামের উত্তরপাড়া বটতলা বড় মসজিদের সামনে জাবের বিশ্বাসের চায়ের দোকানে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীদের ছোড়া বোমায় জিয়াউর রহমান ফকির নিহত হন।