খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অভয়নগরে মাদরাসা শিক্ষকের ‘মানবিক বিয়ে’! থানায় ধর্ষণ মামলা

যশোর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগরে মাদরাসার এক বহুল আলোচিত মুহতামিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের নামে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর-১৮।

মামলায় বলা হয়েছে, অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী গ্রামের সিংগাড়ী কওমি মহিলা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি রফিকুল ইসলাম হতদরিদ্র পরিবারের একটি মেয়েকে ফুসলিয়ে ‘মানবিক বিয়ের’ দোহাই দিয়ে মাদরাসার কক্ষেই দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন।

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, একটি কাগজে বরের নামের জায়গায় রফিকুলের নাম ও কণের নামের স্থানে তার নাম লিখে স্বাক্ষর করে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী দাবি করেন রফিকুল। কাবিননামা ছাড়া এ বিয়েকে ‘মানবিক বিয়ে’ বলে ওই ছাত্রীকে বোঝান রফিকুল।

ওই ছাত্রীর মা বলেছেন, মেয়েটির বাবা মারা গেছে বেশ আগে। মেয়েটি হিদিয়া আলিম মাদরাসায় সপ্তম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে উঠেছে। করোনার কারণে মাদরাসা বন্ধ থাকায় মেয়েটিকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য সিংগাড়ী কওমি মাদরাসায় দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, হুজুর আমার মেয়েকে চার মাসে অনেকবার নির্যাতন করেছে। যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি আমাকে ঘটনা জানায়। এরপর বিয়ের নামে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শুভরাড়া ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মাহমুদুর রহমান জানান, মেয়েটি তার এলাকার। বিয়ের কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তালাকের নামে সমঝোতার চেষ্টা করছে একটা মহল। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার দাবি করছেন এলাকাবাসী। মেম্বর বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা অসহায় পরিবারটির পাশে এসে দাঁড়ান। তাদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা অভয়নগর থানায় উপস্থিত হয়ে মাদরাসার মুহতামিম রফিকুল ও তার এক সহযোগীকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে অভয়নগর থানায় যোগাযোগ করা হলে তদন্তের স্বার্থে ওই সহযোগীর নাম জানাতে চায়নি থানা পুলিশ। তবে মামলার সত্যতা স্বীকার করে থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, আসামিদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!